বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ জড়িত: বিএনপি
জিয়াউর রহমান নয়, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ড (১৫ আগস্ট) আপনারা ঘটিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে। অন্য কেউ এরসঙ্গে জড়িত ছিল না। যারা করেছে, তারা সামরিক বাহিনীর লোক ছিল। কাজেই মাছ দিয়ে শাক ঢাকার চেষ্টা করবেন না।’
সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে লালমনিরহাটে বিএনপির করোনা হেল্প সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসবকথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের মোশতাক সাহেবের সঙ্গে পুরো ৩১ জনের মন্ত্রিসভা শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের রক্তের ওপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে মন্ত্রিত্বের শপথ নিয়েছে।’
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিচার হয়েছে। বিচার করেছেন আপনারা(আওয়ামী লীগ)। অথচ এখন আপনারা নতুন এক গান গাওয়া শুরু করেছেন যে, জিয়াউর রহমান এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কোথাও কেউ আজ পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেনি। কেউ ওই কথা বলেনি যে, জিয়াউর রহমান সম্পৃক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমান তো তখন ডেপুটি, চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ছিলেন না। তিনি সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ছিলেন। প্রধান ছিলেন সফিউল্লাহ সাহেব। সেই সফিউল্লাহ সাহেব গিয়ে খন্দকার মোশতাককে স্যালুট করেছেন। এ কে খন্দকার স্যালুট করেছেন।’
কাউকে দোষারোপ না করে আওয়ামী লীগকে শোধরানোর পরামর্শ দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য অন্যকে দোষারোপ করে লাভ নেই। নিজেরা পরিচ্ছন্ন হোন, শুদ্ধ হোন। হত্যার রাজনীতি বাদ দেন। সন্ত্রাসের রাজনীতি বাদ দেন।জনগণের সঙ্গে প্রতারণার রাজনীতি বাদ দেন। জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সঠিকভাবে পূরণ করুন।’
লালমনিরহাট বিএনপির উদ্যোগে জেলার কোভিড–১৯ হেল্প সেন্টারের উদ্বোধন এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানে এ অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মির্জা ফখরুল।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুররহমান বাবলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক বক্তব্য দেন।