মহামারির অবসান হবে যখন বিশ্ব চাইবে: ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ড. টেড্রস আধানম গ্যাব্রেয়েসুস বিশ্বব্যাপী কোভিড–১৯–এর প্রাদুর্ভাব নিয়েবলেছেন, ‘মহামারির অবসান হবে যখন বিশ্ব তা চাইবে।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এ খবর জানিয়েছে।
মহামারি শুরুর পর নভেল করোনাভাইরাসের ডেলটা ভ্যারিয়্যান্ট বা ধরনটিই এখন বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। ইউএস সেন্টারস ফরডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছে, ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টটি জলবসন্তের মতোই সংক্রামক এবং যারা টিকা গ্রহণ করেছে বাকরেনি—উভয়ের জন্যই এই ডেলটা ভ্যারিয়্যান্ট সমান সংক্রামক হতে পারে।
ডব্লিউএইচও’র লক্ষ্য হলো সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ প্রতিটি দেশের জনসংখ্যার কমপক্ষে ১০ শতাংশ জনগণ এবং এ বছরেরশেষ নাগাদ কমপক্ষে ৪০ শতাংশ এবং আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে করোনার টিকা দিতে সহযোগিতা প্রদান করা। কিন্তু, ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেছেন, এই লক্ষ্য অর্জন এখনও ‘অনেক দূরের বিষয়’।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান আরও বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত বিশ্বের অর্ধেকের কিছু বেশি দেশ তাদের জনসংখ্যার ১০ শতাংশকে টিকারপূর্ণ ডোজ দিয়েছে, এক–চতুর্থাংশেরও কম দেশ ৪০ শতাংশ জনগণকে টিকা দিয়েছে, এবং মাত্র তিনটি দেশ ৭০ শতাংশ জনগণকে টিকা দিয়েছে।’
ড. টেড্রস আধানম গ্যাব্রেয়েসুস স্মরণ করিয়ে দেন—বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে সতর্ক করেছিল যে, বিশ্বব্যাপী দরিদ্রদের মধ্যেটিকা পৌঁছানো কঠিন হবে এবং তারা পেছনে পড়ে যাবে। টিকাপ্রাপ্তির অসমতার কারণে ‘বিশ্ব বিপর্যয়মূলক নৈতিক ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে’।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেন, এখনও বিশ্বব্যাপী টিকা বিতরণে অসমতা রয়ে গেছে। সব অঞ্চলই ঝুঁকিতে রয়েছে, তবে আফ্রিকা অঞ্চলের মতো এত বেশি ঝুঁকিতে আর কেউ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘আফ্রিকা মহাদেশের অনেক দেশ টিকা দেওয়ার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে, কিন্তু টিকা আসেনি। বিশ্বব্যাপী টিকাদানের দুই শতাংশেরও কম আফ্রিকায় দেওয়া হয়েছে।’ এই মহাদেশের জনসংখ্যার মাত্র দেড় শতাংশ জনগণকে সম্পূর্ণরূপেটিকা দেওয়া হয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান জানান, তার সংস্থা একটি জরুরি কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। র্যাপিড অ্যাক্ট–এক্সিলারেটর ডেলটা রেসপন্স, বা‘রাডার’ নামের এই কার্যক্রম চালু করার জন্য ৭৭০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিলের ‘জরুরি আহ্বান’ জানানো হয়েছে। এই কার্যক্রমে ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টটির পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেন, ‘নিম্ন আয়ের দেশ গুলোতে টিকা সরবরাহ করা কোভ্যাক্স কার্যক্রমের জন্য আরও তহবিল প্রয়োজন।