ট্রাম্পকে ইরানে হামলা চালাতে বলেছিলেন নেতানিয়াহু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারার পরও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইরানে হামলার পরামর্শ দিয়েছিলেন ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যম দ্যা নিউইয়র্কার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
তবে এ ধরনের হামলার বিরোধিতা করেছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর চেয়ারম্যান অব দ্যা চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলি ।তিনি ট্রাম্পকে বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারার পরও যদি আপনি ইরানে হামলা চালান, তাহলে এ যুদ্ধটি একটি খারাপউদাহরণ হয়ে থাকবে।
সংবাদ মাধ্যম দ্যা নিউইয়র্কারের তথ্য অনুসারে, মার্ক মিলি বিশ্বাস করতেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ চান না। কিন্তু, বিভিন্ন প্ররোচনার কারণে তিনি ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন।
সংবাদ মাধ্যম দ্যা নিউইয়র্কারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই সময় এমন লোকেদের পরিবেষ্টিত ছিলেন যারাইরানে হামলার জন্য তাকে প্ররোচিত করত। এছাড়া বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন ট্রাম্প। নেতানিয়াহু সবসময় ট্রাম্প প্রশাসনকে ইরানে হামলার জন্য উস্কানি দিতেন। যদিও ওই সময়ে এ ব্যাপারটা স্পষ্ট ছিল যে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গেছেন।
ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রথমদিকে ইরানে আক্রমণ করার বিষয়ে জোর দিচ্ছিলেন। কিন্তু, তিনি পরে ইরানের ওপর হামলার বিষয়ে সমর্থন দেয়া বন্ধ করেন। বিশেষ করে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম সম্পর্কে আইএইএয়ের (আন্তর্জাতিক পরমাণুশক্তি সংস্থা) প্রতিবেদন সম্পর্কে জানার পর তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন।
সংবাদ মাধ্যম দ্যা নিউইয়র্কারের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন ট্রাম্পকে বলেন যে এখন সামরিক হামলা করা যাবে না। আইেএইএয়ের (আন্তর্জাতিক পরমাণুশক্তি সংস্থা) প্রতিবেদন মতে, অনেক আগেই আমরা হামলা করার সুযোগ হারিয়েছি।
পরে, মার্কিন সেনাবাহিনীর চেয়ারম্যান অব দ্যা চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে বলেন, আপনারা ইরানে আক্রমণের ব্যাপারে চুপ কেন? এর প্রতিউত্তরে মাইক পেন্স তাকে বলেন, ইরান একটি শয়তান দেশ, তাই আমরা হামলা করছি না।
সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর