সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায় সরকারকে নিতে হবে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তারসম্পূর্ণ দায়–দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও অবহিত করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সংসদে দেশনেত্রীর বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যপূর্ণশালীনতা বিবর্জিত বক্তব্যে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়।
সভা মনে করে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সাজানো মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে।প্রকৃতপক্ষে সাংবিধানিক এবং প্রচলিত আইনের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তার নাগরিকঅধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তার প্রাপ্য জামিন পর্যন্ত তাকে দেয়া হয়নি। অথচ একইধরনের মামলায় অন্যান্য প্রায় সকল অভিযুক্তদের জামিন দেয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে আইনের বলে সরকার নির্দেশ দিয়েছেন ওই আইনে আবার তাকে নতুন নির্দেশে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। আসলে তারা (সরকার) নিজেদের ক্ষমতা নিজেরাই খর্ব করছে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সাথে একটা বৈরী মনোভাব প্রদর্শন করা।
স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, সরকার নেতিবাচক মনোভাব থেকে বেরিয়ে এসে একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আজীবন সংগ্রামী বাংলাদেশের জনগণের প্রিয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে সকল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যসরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার বাসভবনে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা প্রশাসনিক নির্দেশ। ওই আইনের কোথাও একথা বলা নেই যে, সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতেপারবেন না। যেখানে খুনের মামলায়, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি অথবা আজীবন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুক্তি নিয়ে বিদেশে চলেযেতে পারে। সেখানে এদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মানবিককারণে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া যাবে না, এটা কোনো মতেই গ্রহণ যোগ্য হতেপারে না।