খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্যেই ‘গণতন্ত্রের’ মুক্তি ‘জনগণের’ মুক্তি: গয়েশ্বর

0

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্যেই সবকিছুর মুক্তি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতন হবে, জনগণের মুক্তি হবে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন এবং আমাদের সকল নেতাকর্মীর মুক্তি হবে।তাই আমরা এক কথা বলি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। এভাবে আন্তরিকতার একটা জায়গায় থাকি।

রোববার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবেবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি সুচিকিৎসা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার সাজা বাতিল এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ দলের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘শুনি সংবাদপত্রে স্বাধীনতা নেইএটার সাথে আমি একমত নই। তারা তো গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা মানুষ গুলোর বিরুদ্ধে লেখার ক্ষেত্রে স্বাধীন। শুধু তারা সরকারের সমালোচনা করতে পারে না, করলে তাদের পত্রিকার ডিকলারেশন বাতিল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনি যদি রাজপথের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করেন, বিভ্রান্ত করেন, দুর্বল করেন, তাহলে কীভাবে গণতন্ত্র ফিরবে এবং আপনার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরবে? এটা করা মানে ফ্যাসিবাদকে পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করা। এখন কোনটা করবেন?’

সংবাদপত্রের কথা যদি জনগণ বিশ্বাস করত তাহলে বিএনপি পাঁচ বার ক্ষমতায় আসতো না বলে মন্তব্য করেন এই নেতা।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আন্তরিকতার সাথে রাজপথে থাকি তাহলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সফল হবেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতন, গুম, খুনের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনি আমাদের যাকে খুশিজেল দিয়ে দেন। কিন্তু শর্ত একটা বাংলাদেশে একটা নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। দেখবেন আমাদের তৃতীয় ধাপের কর্মীবিজয়ী হয়ে আসবে। বাংলাদেশের মানুষকে ভোট দিতে দেন।

বিএনপির খুলনা বিভাগের নেতাদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে দলের সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উননবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল, শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক . এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com