একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে সরকার: ফখরুল

0

বর্তমান সরকারপাকিস্তানি বাহিনী মতোই জনগণের অধিকার খর্ব করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে যারা ক্ষমতায় বসে আছেন; জোর করে ক্ষমতা দখল করে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর মতোই মানুষের সমস্ত অধিকারগুলোকে খর্ব করছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা তাকে ধ্বংসকরে দিয়ে মানুষের আশাআকাঙ্ক্ষাকে ভুলণ্ঠিত করে দিয়ে একটা এক দলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা আজকে মানুষের ওপর অত্যাচারজুলুমনির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, বিএনপি সবসময় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, রণাঙ্গনে যারা যুদ্ধ করেছে তাদের সংগঠিত দল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে আশাআকাঙ্ক্ষা নিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা চেয়েছিল, যুদ্ধ করেছিল সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য বিএনপি সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের সেই সংগ্রাম ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সফল হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।

স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে স্বাধীনতার সত্য ইতিহাস বিকৃত করে তারা তাদের তৈরি করা ইতিহাস আজকে জাতির সামনে, পরবর্তী প্রজন্মের সামনে নিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, ‘আজকে দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যেসব অনুষ্ঠান করা হচ্ছে এটার লক্ষ্যই হচ্ছে প্রকৃতি ইতিহাস গুলো সামনে তুলে নিয়ে আসা। এটা কারও প্রতি বিরাগ নয়, কাউকে ছোট করা নয়, বরং যার যে সম্মান সেই সম্মান গুলো তাদেরকে দেয়ার জন্য। সত্যিকার অর্থেই যারা মুক্তিযুদ্ধে সেদিন অবদান রেখেছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন আজকে তারা সবাই উপেক্ষিত।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এদের (আওয়ামী লীগ) ঘটনাবলি দেখলে মনে হয় যে, এদেশে কোনো মুক্তিযুদ্ধ কেউ করে নাই একমাত্র একজন ব্যক্তি ছাড়া। অথচ তিনি সেই দিন দেশেই ছিলেন না, পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। আওয়ামী লীগেরএই সরকার আজকে একবারের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানী সাহেবের নাম উচ্চারণ করেন না, তারা সেইসময়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ সাহেবের অবদানের কথা একবারের জন্য বলেন না, লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা যারা সাধারণ মানুষ থেকে এসছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল তাদের কথা তারা উচ্চারণ করেন না। আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তাকে তারা খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য যত রকমের বিকৃত ইতিহাস আছে তারা সেটার একটা ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।

জিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকেসেই ক্যাম্পেইনকে প্রতিরোধ করবার জন্য, সেই প্রচারণাকে বন্ধ করার জন্য এবং নতুন প্রজন্মকে সত্য ইতিহাস তুলে ধরবার জন্য আমাদেরকে সেভাবে সত্য ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।

বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগেমুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের দেহাবশেষ পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকাশীর্ষক এই আলোচনা সভাহয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com