স্বাধীন বাংলাদেশে বিনা বিচারে আটকের মঞ্চ তৈরি করে আ.লীগ: নজরুল ইসলাম খান

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বিশেষ ক্ষমতা আইনজারি করে বিনা বিচারে আটকের মঞ্চ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবেবহুদলীয় গণতন্ত্র জাতীর আত্মমর্যাদার প্রতিক জিয়াএবংকেন একজন তারেক রহমানের প্রয়োজনশীর্ষক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি দল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭২ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইন জারি করে বিনা বিচারে আটকেরমঞ্চ করেন। তারপর সংবিধানে জরুরি অবস্থার বিধান পূর্ণ করা হলো এবং মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হলো। তারপর দেশেরসব দল বাতিল করে, একদলীয় শাসন কায়েম করে গণতন্ত্রকে জবাই করা হলো। সে অবস্থাতেও যখন সংবাদপত্র/সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে মানুষের কষ্ট প্রকাশিত হচ্ছে, তখনই কালো আইন করে চারটি সংবাদমাধ্যম রেখে সব সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করে দেয়া হলো।

তিনি বলেন, ওই বছর ১৭ জুন থেকে বাংলাদেশে মাত্র চারটি সংবাদপত্র সরকারি মালিকানায় প্রকাশিত হয়েছে। আর কোনো পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশটা হলো জনগণের। সেই জনগণকে যারা বঞ্চিত করে, তখন তাদের কেউ ভালোবাসে না। এমনকি আল্লাহও ভালোবাসে না। এগুলো ঐতিহাসিক বাস্তবতা।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার শাহাদাত বরণের পর জানাযায় যে লোক হয়েছে এবং মানুষ যেমন অশ্রু ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে তাকেশেষ বিদায় জানিয়েছে এমন দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের সাথে একাকার ছিলেন এবং বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

সময় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, আপনারা জানেন ১৭ জুন ১৯৭৫ সালে সংবাদপত্রের কালো দিন হিসেবে এই দিনটিকে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কারণ ১৯৭৫ সালে বাকশালকে পাকাপোক্ত করার জন্য তৎকালীন বাকশালীসরকার যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল, একদলীয় রাষ্ট্র কায়েম করেছিল, তারা সব সংবাদপত্র বাতিল করে দেয়, শুধু রাষ্ট্রীয় মালিকানায় সরকারি চারটি সংবাদপত্র বহাল রাখে। আজকের স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসেও আমরা একই চিত্র দেখতেপাচ্ছি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তারা তখন গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। ১৯৭০ সালে সাধারণ জনগণ যাদের ওপর আস্থারেখেছিল তারা পরবর্তীতে জনগণের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসে আওয়ামী লীগের চিরচারিত চরিত্র আবারো উন্মোচিত করেছে। তাদের কাছে যেগণতন্ত্র নেই তারা যে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা যে একদলীয় ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে সেটি আবারো সামনে নিয়ে আসে।

ইশরাক বলেন, আপনারা জানেন গত কয়েক দিন থেকে একজন ইসলামী বক্তা আবু ত্ব হা আদনান নিখোঁজ। এমন অনেক মানুষ যারা সরকারের সমালোচনা করেছেন অতীতে তারা গুম হয়ে গিয়েছেন, আমাদের দলের সিনিয়র নেতা কর্মীরাও গুম হয়ে গিয়েছেন, অনেককে পাওয়া গিয়েছে অনেককে পাওয়া যায় নাই। আমরা সব নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান চাই।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন অসিম।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com