গণতন্ত্রের মর্যাদার সাথে বেমানান মোদি সরকারের কাজকর্ম: সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র
ভারতে গণতন্ত্র সুরক্ষার প্রশ্নে ফের বড় ধাক্কা খেল নরেন্দ্র মোদি সরকার। আর সেই ধাক্কাটি এলো আমেরিকা থেকে। মার্কিনপররাষ্ট্র দফতরের কার্যকরী সহকারী সচিব ডিন থম্পসনের মন্তব্য– ভারত হলো বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতন্ত্র রক্ষায় শক্তিশালী আইনও বলবৎ। অথচ, ভারত সরকারের কিছু কিছু কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রের মর্যাদার সঙ্গে খাপ খায় না। কিংবা বলা ভালো একেবারে বেমানান। বিশেষ করে ভারতে বাক্ স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়টি বড় উদ্বেগের! এক্ষেত্রে সাংবাদিক ওমানবাধিকারক র্মীদের সমস্যার উপরে বেশি জোর দিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে মার্কিন কংগ্রেসে ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের গণতন্ত্রবিষয়ক এক সভায় মিলিত হয় এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘ফরেনঅ্যাফেয়ার্স সাব–কমিটি’। সেখানে যোগ দেন একাধিক কংগ্রেস সদস্য। তাদের সামনে থমসনের এই উদ্বেগ প্রকাশ মোদি সরকারকে নতুন করে বিড়ম্বনায় ফেলল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এর আগে বহুবার এই একই বিষয়ে সমালোচনার তীর ধেয়ে এলেও তাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। তাদের সাফ কথা ছিল– ভারতের গণতান্ত্রিক রীতিনীতি রক্ষায় সরকার অত্যন্ত যত্নশীল। তা ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানোর অধিকার কারো নেই।
তবে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি পররাষ্ট্রসচিব থম্পসন অবশ্য মনে করেন, নাগরিক সমাজের অধিকার সুরক্ষায় যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভূমিকা সদর্থক হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এই ইস্যুতে আমেরিকা বরাবরই সচেতন ও সতর্ক। শুধু তাই নয়, নাগরিক সমাজের সুরক্ষাকে অত্যধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজও করে আসছে। ফলে কে কী বলল, তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে মার্কিনপ্রশাসনের নৈতিক অবস্থানেই অনড় থেকেছেন থম্পসন। তিনি বলেছেন, ভারতে ক্রমেই ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের উপর নিষেধাজ্ঞা বেশি করে চাপানো হচ্ছে। যার দরুন বেকায়দায় পড়ছেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা। অহেতুক তাদের আটককরা হচ্ছে। যা ভারতের মতো বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষে কাম্য নয়।
থম্পসনের সুরে সুর মিলিয়ে কংগ্রেস সদস্য ক্রিসি হউলাহন কাশ্মীরের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরিদের মধ্যে অনেকেই আমার সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। ফলে তাদের সমস্যা নিয়ে আমাদেরও উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। গণতন্ত্র রক্ষারখুঁত কিংবা সমস্যাগুলি ভারত এড়াতে পারে না। আমরাও না।