সাধারণ সর্দি-কাশি নাকি করোনা বুঝবেন যেসব লক্ষণে

0

প্রচন্ড গরমে অনেকেই এখন সর্দিকাশিতে ভুগছেন! অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বারবার গোসল করা বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পানকরার কারণে সর্দিকাশি হতে পারে। এই করোনাকালে সাধারণ ঠান্ডাকাশির লক্ষণ দেখেই কোভিড১৯ আক্রান্ত ভেবে অনেকেই ভুল করেন।

আবার করোনার উপসর্গ তো সর্দিকাশি গলা ব্যথা দিয়ে শুরু হয়। তহলে সময় সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হলে বুঝবেন কীভাবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আর সাধারণ ফ্লু এর উপসর্গ গুলো প্রায় একই রকম ভাবে প্রথমদিকে প্রকাশ পেয়ে থাকে।

তবে কিছু লক্ষণ আছে যা সাধারণ ফ্লু থেকে করোনার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, সাধারণ সর্দিকাশিনাকি করোনা বুঝে নেওয়ার উপায়

সাধারণ ফ্লু করোনাভাইরাস সংক্রমণ

সাধারণ ফ্লু এর ক্ষেত্রে ভাইরাস ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে আবারমানুষের সংস্পর্শে এলেও হতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, করোনাভাইরাস সূক্ষ্মরূপ ধারণ বাতাসে মিশে থাকতেপারে।

সাধারণ ফ্লু কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়। আবার এর প্রভাবও খুব একটা গুরুতর রূপ ধারণ করে না। অন্যদিকে কোভিড১৯এর প্রভাবে আক্রান্তদের সর্দিকাশি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

সাধারণ ফ্লু করোনার উপসর্গ

সর্দিকাশি, গলা ব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথার মতো সাধারণ উপসর্গ ফ্লু এর কারণে হয়ে থাকে। এসব লক্ষণ কিন্তু করোনা রোগীদের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে হিসেবে দেখা গেছে।

তবে করোনায় সংক্রমিত হলে আক্রান্তরা স্বাদ গন্ধ টের পাওয়ার ক্ষমতা হারায়। এমনটি অবশ্য সাধারণ ফ্লু ক্ষেত্রে হয় না। ছাড়াও বমি বমি ভাব, ক্লান্তি এসব লক্ষণ করোনার ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।

সাধারণ সর্দিকাশি টের পাওয়ার আরও একটি লক্ষণ হলো দিনের মধ্যে আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে করোনারক্ষেত্রে দিন পর্যন্ত সর্দিকাশিতে ভুগে থাকেন আক্রান্তরা। আবার ১৪ দিন পরেও উপসর্গগুলো দেখা যায়।

উপসর্গ দেখা দিলে যা করণীয়

সর্দিকাশি, জ্বর বা গলা ব্যথা হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। দিন সময় দিন। নিজের শরীরকে বোঝার চেষ্টা করুন।দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন না।

পাশাপাশি খেয়াল রাখুন গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং জ্বর ছাড়া করোনার অন্য কোনো উপসর্গগুলো চোখে পড়ছে কিনা। দিনের মধ্যে যদি অবস্থার পরিবর্তন না ঘটে; তাহলে কোভিড১৯ পরীক্ষা করে দেখুন।

প্রথম থেকেই গরম পানিতে গার্গল করুন। তুলসি পাতা ফুটিয়ে মধু দিয়ে পান করুন। ভেষজ চা পান করার বিকল্প নেই। দিনেঅন্তত দুইবার করে গরম ভাপ নিন।

কারণ সামান্য ভুলের জন্য পরিবারের সবাই আক্রান্ত হতে পারেন। এজন্য বাড়ির অন্যদের থেকে আলাদা থাকুন। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন। অসুস্থ হওয়ার পরপরই আলাদা ঘর, বাথরুম, পোশাক, থালাবাসন ব্যবহার করুন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.