সিলিন্ডারে কতটুকু গ্যাস রয়েছে, দেখে নিন এই উপায়ে

0

রান্নার গ্যাসের একটা সিলিন্ডার কতদিন চলতে পারে, সে সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা আমাদের অনেকেরই আছে। বাড়িতে কত জনের রান্না হচ্ছে বা কী ভাবে রান্না করা হচ্ছেএমন বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে যে, একটা গ্যাস সিলিন্ডার মোটামুটি কতদিন চলবে। কিন্তু যতই ধারণা থাকুন না কেন, মাস খানেক চলার পর একটা দুশ্চিন্তা কিন্তু থেকেই যায়, বার বারফিরে আসেএই বুঝি গ্যাস ফুরিয়ে গেল!

রান্নাবান্না জোর কদমে চলছে, এরই মধ্যে হঠাৎ গ্যাস ফুরিয়ে গেলেই সর্বনাশ! কারণ, রান্না চলাকালীন এমনটা হলে ঝক্কি তো কমহয় না! কিন্তু সিলিন্ডারে আর কতটা গ্যাস পড়ে রয়েছে তা কী করে বুঝবেন? অনেকেই ক্ষেত্রে এলপিজি সিলিন্ডার হাতে তুলেধরে বা ঝাঁকিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন যে, সিলিন্ডারে আর কতটুকু গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে।

কিন্তু পদ্ধতিতেও অনুমানের উপরেই নির্ভর করতে হয়। নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না। তবে একটা পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সহজেই বুঝেনেওয়া যায় যে, সিলিন্ডারে আর ঠিক কতটা গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়

) প্রথমে একটা ভিজে কাপড় দিয়ে এলপিজি সিলিন্ডারটিকে খুব ভাল করে মুছে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন, সিলিন্ডারের গায়েযেন কোনও ধুলোর আস্তরণ জমে না থাকে।

) সিলিন্ডার ভাল করে মোছা হয়ে গেলে মিনিট পর দেখবেন, সিলিন্ডারের কিছুটা অংশের ভিজে ভাব শুকিয়ে গিয়েছে আরবাকি অংশ তখনও ভিজে রয়েছে।

) সিলিন্ডারের যে অংশটা শুকোতে বেশি সময় নিচ্ছে, সেই অংশ টুকুই রান্নার গ্যাসে ভরা রয়েছে আর যে অংশটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে গিয়েছে, সিলিন্ডারের সেই অংশটি খালি! কারণ, সিলিন্ডারের যে অংশে তরল রয়েছে, সেখানকার তাপমাত্রা খালি জায়গার তুলনায় কিছুটা হলেও কম হবে। তাই সিলিন্ডারের যে অংশে গ্যাস রয়েছে, সেই অংশটির তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কমবলে শুকোতে বেশি সময় লাগে।

সুতরাং, ‘এই বুঝি গ্যাস ফুরিয়ে গেলভেবে দুশ্চিন্তা করার আর প্রয়োজন নেই। সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস রয়েছে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলে এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে নিজেই দেখে নিন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.