অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি ছাত্রশিবিরের
অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খুলে দেয়া, পরীক্ষা নেয়াসহ সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি সরকারের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একের পর এক কান্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত শুধু শিক্ষার্থীদের নয় বরং পুরো দেশবাসীকে বিক্ষুদ্ধ করে তুলেছে। দেশের অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, যানবাহনসহ সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার পায়তারা করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার বিভিন্ন খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিলেও আগামীর দেশগড়ার কারিগর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের দূরবস্থাকে চাতুরতার সাথে এড়িয়ে গেছে। করোনাকালে শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করলেও তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেনি। অন্যদিকে অতিরিক্ত হারে সেশন ফি-সহ অন্যান্য ফি-জরিমানা, বেতন বহাল রাখা হয়েছে। আবার হঠাৎ করেই মাত্র একটি পরীক্ষা বাকী রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সরকার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিরেট তামাশা শুরু করেছে। সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক দায়িত্বহীন আচরণে মনে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের নূন্যতম কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
নেতৃবৃন্দ সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবিই যৌক্তিক এবং দাবিগুলো তাদের ক্যারিয়ারের সাথে জড়িত। শিক্ষার্থীদের এসব দাবির সাথে শুধু ছাত্রসমাজ নয় বরং অভিভাবকসহ বিবেকবান সকলেই একমত। শিক্ষার্থীরা আগে থেকেই এসব যৌক্তিক দাবি করে আসছিলো। কিন্তু সরকার কোনভাবেই তাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি। ফলে তাদের রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে। সরকারকে অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খুলে দিতে প্রয়োজনে অর্থ বরাদ্দ করে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি