বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপর নাম “জিয়াউর রহমান”
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করবেন না। হাত পুড়ে যাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। এখন ঘরে ঘরে খুনি, মাফিয়া, দখলদার, নারী ধর্ষণকারী।’
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলব, জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। আর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করবেন না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এ রাষ্ট্রীয় খেতাব এই সরকার দেয় নাই। এই খেতাব স্বাধীনতার পর দেশের জনগণ ভালোবেসে জিয়াউর রহমানকে দিয়েছে। আর আপনারা (সরকার) আইন দেখান!’
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। এই সরকার জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায়, কিন্তু তা কখনও হবে না।’
জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার সামিল। সরকারকে এহেন সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জনিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
মঙ্গলবারের এই সিদ্ধান্তের পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে গণমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাবটি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটাকে আমি ‘সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছে তাদেরকে আমি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনে করি না। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং পুরোপুরিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হলো। আমি এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’