পিরিয়ডে প্রতি মাসেই ব্যথা? যা খেলে মিলবে মুক্তি
পিরিয়ডের সময় যারা সবরকম ব্যথামুক্ত থাকেন, তারা ভাগ্যবতী। কিন্তু সব মেয়ের ভাগ্য এমন ভালো হয় না। মাসের এই নির্দিষ্ট সময়ের কয়েকটি দিন ভীষণ পেটে ব্যথায় ভোগেন অধিকাংশ নারী। একারণে ব্যহত হয় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন। আর এটি এখন খুব সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন, এই ব্যথা কতটা অসহনীয়।
এই ব্যথা দূর করার জন্য পেইন কিলার খাওয়াই সমাধান নয়। কারণ পেইন কিলার ব্যথা থেকে সাময়িক মুক্তি দিলেও এর অনেকরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তাই এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কিছু ঘরোয়া প্রতিকার দিয়ে থাকেন। যেমন এমনকিছু খাবার বা পানীয় খাওয়া যার মাধ্যমে ব্যথা অনেকটাই নিরাময় সম্ভব।
পিরিয়ড চলাকালীন খুব সাধারণ একটি ঘরোয়া প্রতিকার হলো গরম চা পান করা এবং এটি আশ্চর্যরকমভাবে খুব ভালো উপকারও করে। তাই প্রতি মাসে এইরকম পরিস্থিতিতে পড়লে এই ঘরোয়া প্রতিকারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
চায়ের আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য: অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে তা ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করতে পারে। ক্যামোমিল, পেপারমিন্ট, গ্রিন টি, আদা চা, তুলসী চা ইত্যাদির মতো ভেষজ চাগুলো দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায়, যেগুলো ব্যথা কমিয়ে সুস্থ করে তোলে।
পেশী ঠিক রাখে: পিরিয়ডের সময় পেটের পেশীগুলিতে টান ধরতে পারে, যার কারণে ব্যথা হতে পারে। গরম পানির বোতল, হিটিং প্যাড, ইত্যাদির ব্যবহার পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, চা জাতীয় উষ্ণ তরল পান করা, পেশী শিথিল করতে এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। তাই এরকম সমস্যায় ভুগলে গরম চা পান করুন।
শক্তি ফিরিয়ে আনে: পিরিয়ডের প্রথম দুদিন অনেকেই নিজের শক্তি হারিয়ে ফেলে। চা কেবল পেটের টান এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে না, এটি শক্তি পুনরুদ্ধার করতে এবং কাজ করার ক্ষমতা ফেরাতে সাহায্য করতে পারে। তাই এই সময়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকতে গরম চা পান করুন।