মেনোপজ মানেই নারীর জীবন শেষ!

0

নারী একজন মা, বোন বা স্ত্রী যাই হোন না কেন,  ৪০ পেরোলেই দিন গুনতে থাকেন এই মনে হয় জীবন শেষ। অনেকেই ইশারায় কেউ তো সরাসরিই বুঝিয়ে দেন, মেনোপজের বয়স এসে যাচেছ, তার মানে সব রং হারিয়ে সামনে এক মলিন-ধূসর পৃথিবী।নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হবার সময়টিকে মেনোপজ বলে। নারীদের জন্য শারীরিক ও মানসিক বেশ চাপের ভেতর দিয়েই পার হয় মেনোপজ শুরুর এই সময়টা।  

মেনোপজের লক্ষণ: 
•    পিরিয়ড পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যাবার আগে ১ বছর ধরে তা অনিয়মিত হতে থাকে ফলে কোনো মাসে পিরিয়ড হয়, কোনো মাসে হয়না, কখনো সময়ে হয়, কখনো অসময়ে হয়

•    ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরোন নিঃসরণ কমে যাওয়ার ফলে শারীরিক সম্পর্ক করার আগ্রহ কমে যায় 

•    এ সময়ের খুব কমন সমস্যা ওজন বেড়ে যাওয়া 

•    সাধারণত সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায় 

•    পিরিয়ড অনিয়মিত বা বন্ধ চলাকালীন সময়ে হাড় দুর্বল হয়ে যায় ও হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হয়

•    মুডসুয়িং, প্রায় সব নারীরই এটা হয়। হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়াই মন-মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আবার এমনিতেই ভালোও হয়ে যায় 

•    এছাড়াও অনেকের চুল পড়ে যায়, ঘুম কমে যায়, খাবারে রুচিও থাকে না আগের মতো।  

সব মিলিয়ে একজন নারীর মধ্যে মেনোপজ নিয়ে অনেক ধরনের হতাশা দেখা দিতে পারে। এসময়ে একজন নারীর প্রতি তার নিজের যত্নশীল হতে হবে। পরিবারের সবারও বিশেষ করে জীবনসঙ্গীকে নিতে হবে বড় দায়িত্ব। নারীকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে হবে। তার প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব যে একটুও কমেনি, এটা বোঝাতে হবে।  প্রয়োজনে কাউন্সিলিং-এর ব্যবস্থা করতে হবে।  মেনোপজ মানেই নারীর জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। বরং নতুন করে নিজেকে ভালোবাসুন, যত্ন নিন ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।  

পছন্দের কাজগুলো করুন। বছরে অন্তত একবার প্রেসার, ডায়াবেটিস, চোখ-দাঁতের অবস্থা জানতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন।  

মনে রাখতে হবে, জীবন আমাদের জন্য উপহার। আর প্রাকৃতিক প্রতিটি স্তরই জীবনের জন্য জরুরি ও উপভোগ্য।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com