চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণচেষ্টায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ ও ক্ষোভ
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর এলাকার সুজানগরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে বাসের চালক ও হেলপারের ধর্ষণচেষ্টা এবং ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৭ ডিসেম্বর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর এলাকার সুজানগরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে বাসের চালক ও হেলপার ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে কলেজছাত্রী গুরুতর আহত হয়। তাকে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করছি যে, বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার নারীরা অব্যাহতভাবে ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা, চলন্ত গণপরিবহণে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টা এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য গণপরিবহণে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং বাস মালিক সমিতিকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে মহিলা পরিষদ।’
বিবৃতিতে নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রীর সুচিকিৎসাসহ তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সিলেটের লামাকাজী এলাকা থেকে ছেড়ে আসা ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের একটি মিনিবাসে করে দিরাই যাচ্ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। পথে সুজানগর এলাকায় বাসের চালক ও হেলপার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে মেয়েটি বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন।
বর্তমানে ওই কলেজছাত্রী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। পরে বাসের হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেট। রোববার রাতে সুনামগঞ্জের গোবিন্দগঞ্জ বোরাইগাঁও থেকে আবদুর রশীদ (২৭) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।