স্বৈরতন্ত্রকে সরাতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই: বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অভিমত

0

আওয়ামী শাসন থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।   

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন তারা।

এসময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান একদলীয় শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। জনগণকে জাগিয়ে তুলতে না পারলে কোনোদিন কোনো আন্দোলনই সফল হয় না। তাদের জাগরণের মধ্য দিয়েই অতীতে বাংলাদেশের সব বিজয় আমরা অর্জন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, সেই জাগরণের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারব।

সম্প্রতি প্রশাসন ও বিচার বিভাগের বিচারকদের রাজপথে মানববন্ধনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে দুর্ভাগ্য যখন আমরা দেখি প্রশাসনিক কর্মকর্তা যাদের বেতন হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে, তারা যখন রাজপথে বিভিন্ন জায়গায় একটা বিশেষ দলের পক্ষে সভা করেন, মিছিল করেন, কথা বলেন এবং জনগণকে ধমক দেন। সেটা সব ধরনের প্রশাসনের কথা বলছি। এটা পুরোপুরি স্বৈরতন্ত্র।

বিএনপির উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল সভায় লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে, বিএনপি ও আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া সে ক্ষেত্রে সফল। এজন্যই আজকে গায়ের জোরে সরকার ইতিহাসকে পাল্টে দিতে চায়।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। যেটুকু আছে গণতন্ত্রের লেবাসে একটা কর্তৃত্বাবাদী স্বৈরতন্ত্র দেশে চালু আছে। এজন্য আজকে তিনটি এজেন্ডা আমাদের সামনে এসে পড়েছে। একটা সংগঠন, আরেকটা হলো আন্দোলন ও নির্বাচন। সংগঠনের কাজ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করছেন। আমরা চেষ্টা করছি সবাই তার সঙ্গে সহযোগিতা করে তার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য। আর আন্দোলন ও নির্বাচনের জন্য আমাদেরকে জাতীয় ঐক্যের প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে।
 
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আওয়ামী লীগ স্বাধীন দেশে ফেরত এসে স্বাধীনতার গল্প শুনেছে। এ দেশ কীভাবে স্বাধীন হয়েছে, কারা স্বাধীন করেছেন, কে স্বাধীন করেছেন- সেই গল্প তারা শুনেছেন। কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ইতিহাস রচনা করেছেন। স্বাধীনতার ইতিহাসের নায়ক এককভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং তারপর সঙ্গীসাথী ও অন্যান্য দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যখন তরুণ ছিলাম তখন আমাদের ভবিষ্যত ১৬ ডিসেম্বর ফয়সালা করেছি। কিন্তু বর্তমান তরুণ সমাজ সমাজের সঙ্গে তৎকালীন তরুণ সমাজের চেতনা ও উপলব্ধিতে তফাৎ আছে। তখন ছাত্রদের অবস্থা, আন্দোলন সংগ্রাম অন্যরকম ভাব ছিল। এখন তা অন্যদিকে ডাইভার্ট হয়ে চলে যাচ্ছে। কারণ ব্যাপক মাদকের নেশা ভোগবাদিতা, দেশ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার চারণভূমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা হাঁটতে পারে না, চলতে পারে না, কথা বলতে পারে না। তাহলে তারা কীভাবে সংগঠিত হবে? একই চেতনায় ছুটবে কী করে? সেই ক্ষেত্রটা তৈরি করা বেশি প্রয়োজন।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com