চীনের আমদানি নিষেধাজ্ঞা, শঙ্কায় অস্ট্রেলিয়া
চীন-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় বিরোধ রাজনীতি ও কূটনীতির সীমা ছাড়িয়ে বাণিজ্যে ছড়িয়েছে আগেই। এর জেরে অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন, এমনটাই জানিয়েছে চীনা গণমাধ্যম। যদিও বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এখনো বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি। কয়লার ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে খোদ অস্ট্রেলিয়া সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বিষয়টি নিয়ে বেইজিংকে অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেছেন।
অস্ট্রেলিয়া থেকে চীনের বাজারে রপ্তানি করা পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়লা। পারস্পরিক বিরোধের জের ধরে চীন সরকার দেশটির আমদানিকারকদের অস্ট্রেলিয়া থেকে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি কার্যক্রম গুটিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছে। এ কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস।
যদিও চীন সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। এর পরও চীনা গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। কেননা চীনের বাজারে কয়লা রফতানি বন্ধ হয়ে গেলে করোনা মহামারির মধ্যে বড় ধরনের সঙ্কটে পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়ার রফতানি খাত।
চীনা গণমাধ্যমের এ প্রতিবেদনের বিষয়ে দেশটির প্রশাসনকে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়ে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেন, চীন সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা একে গণমাধ্যমের প্রচার হিসেবে ধরে নেব। আশা করছি চীন সরকার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালার আওতায় থেকে কয়লা বাণিজ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কেননা এ বিরোধে দুপক্ষই হারবে।
এদিকে কয়লার ওপর নিষেধাজ্ঞায় সঙ্কার কথা স্বীকার করে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী সিমন বার্মিংহাম বলেন, অস্ট্রেলীয় কয়লা আমদানিতে চীন সরকারের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আমাদের রফতানি বাণিজ্যকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। এটা নিয়ে আমরা সঙ্কায় রয়েছি। তবে আমরা আশা করছি বেইজিং বৈষম্যমূলক বাণিজ্য নীতি থেকে সরে আসবে।
উল্লেখ্য, পুরো বিশ্বে কভিড-১৯ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য চীনকে দায়ী করে শাস্তি দাবি করে অস্ট্রেলিয়া। এর জের ধরে দুই দেশের বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়, যা পরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করে। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ও রয়টার্স।