যুক্তরাষ্ট্রে নয়া সরকার আসার পর পরিস্থিতি বদলে যাবে: ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটাতে হবে। তিনি (সোমবার) তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে বিদেশি সাংবাদিকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
রুহানি বলেন, ইরান সরকার নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে বিলম্বের সুযোগ দেবে না। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি বদলে যাবে। বর্তমান প্রেসিডেন্টও যদি নির্বাচিত হয়ে নতুন সরকার গঠন করতেন তাহলেও পরিস্থিতি বদলে যেত।
ইরানের প্রেসিডেন্ট দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতাকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি সফল হতে পারেন নি। ইরান সরকার সর্বশক্তি দিয়ে পরমাণু সমঝোতাকে টিকিয়ে রেখেছে।
রুহানি বলেছেন, পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতা- উভয়ই ইরানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ব্যর্থতার কারণ হলো ৪+১ গ্রুপ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে তেহরানের সমন্বয় ও সহযোগিতা।
ইরানের নির্বাহী বিভাগের প্রধান বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বিশ্বের সব দেশ বিশেষকরে রাশিয়া ও চীনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘৃণ্য শাসনামলের শেষ দিনগুলোতে যারা এই অঞ্চলকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল তারাই ইরানের বিশিষ্ট পরমাণু ও প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিযাদেহ-কে হত্যা করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ট্রাম্পের শাসনের শেষ দিনগুলোতে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা এবং যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
রুহানি বলেন, শহীদ ফাখরিযাদেহ’র রক্তের বদলা নেয়াকে নিজের ন্যায্য অধিকার বলে মনে করে ইরান এবং সঠিক সময়ে উপযুক্ত স্থানে প্রতিশোধ নেয়া হবে।