‘নেতানিয়াহুর মতো মিথ্যুকের কথা কেন বিশ্বাস করছেন’? প্রশ্ন সৌদি প্রিন্সের
সৌদি আরবের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা অস্বীকার করেছেন সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল। একই সাথে তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের দেখার বিষয়টি ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন।
সিএনএন-কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তুর্কি আল-ফয়সাল একথা বলেন। তিনি সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।
ইসরাইল ও মার্কিন সূত্র গত সপ্তাহে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সাথে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর গোপন বৈঠকের খবর দেয়ার বিষয়টি তিনি স্পষ্ট ভাষায় উড়িয়ে দেন।
আল ফয়সাল বলেন, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান সম্পূর্ণভাবে গোপন বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করার পরেও দুর্ভাগ্যবসত মিডিয়া ইসরাইলি সংবাদকেই বিশ্বাস করছে।
তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবের পক্ষ থেকে গোপন বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। আমি মনে করি নেতানিয়াহুর মতো মিথ্যাবাদীর চেয়ে সৌদি আরবের গ্রহণযোগ্যতা আরো বেশি। নেতানিয়াহু তো ইসরাইলি জনগনের কাছেই মিথ্যার দায়ে অভিযুক্ত। সুতরাং তার কথা কিভাবে বিশ্বাস করা যেতে পারে?
তুর্কি আল-ফয়সালকে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকরণের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের এধরণের কোন ইচ্ছাই নেই।’
সৌদি প্রিন্স আরো নিশ্চিত করে বলেন, সৌদি আরবের পরামর্শমূলক সভায় বাদশাহ সালমান আরো আগেই সৌদির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, সৌদি আরব সব সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে ‘আরব পিস ইনিশিয়েটিভ‘ এর আওতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এসময় তুর্কি আল-ফয়সাল পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, কেন আপনারা বাদশাহ সালমানের কথা বিশ্বাস না করে নেতানিয়াহুর কথায় বিশ্বাস করছেন?
বাইডেন প্রশাসনের সাথে সৌদি আরব ও আমেরিকার ভবিষ্যত সম্পর্কের কথা জানতে চাইলে তুর্কি আল-ফয়সাল বলেন, সৌদি আরবের সাথে আমেরিকার ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান প্রশাসনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবার সময়ে বাইডেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখনও সৌদির সাথে আমেরিকার সুসম্পর্ক ছিল।
আল ফয়সাল বলেন, আমরা অতীতে কয়েকটি বিষয় নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছি। তবে আমাদের সাথে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সম্পর্ক মূল্যায়নের ব্যাপারে অপেক্ষা করছি। কারণ সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগে থেকেই বিদ্যমান।
গত সপ্তাহে ইসরাইলি মিডিয়ায় প্রকাশিত সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও নেতানিয়াহুর মধ্যকার গোপন বৈঠক সম্পর্কে রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে অস্বীকার করেছে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ নিশ্চিত করেছেন যে বৈঠকে কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।