হংকং ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
গত মাসেই হংকংয়ে আইনসভার নির্বাচিত চার বেইজিং বিরোধী সদস্যকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন। সেই ঘটনার প্রতিবাদে হংকং আইনসভার গণতন্ত্রকামী সব সদস্যই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়টি নিয়ে তখনই ব্রিটেন ও আমেরিকার মতো পশ্চিমা দেশগুলো হংকংয়ের স্থানীয় প্রশাসন ও বেইজিংয়ের কড়া সমালোচনা করেছিল।এদিকে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে একেবারে শেষ ধাপে পৌঁছে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এখনো তিনি চীনের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন এবং ব্যবস্থা নিচ্ছেন। যার সর্বশেষ উদাহরণ হলো, চীনের সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি। মার্কিন রাজস্ব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত, চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ১৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও তাদের পরিবারকে মার্কিন মুলুকে ঢুকতে দেয়া হবে না। কারণ হংকং এর বিরুদ্ধে দমনমূলক নতুন সুরক্ষা আইন করার পেছনে তারাই ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। এই কর্মকর্তাদের আমেরিকায় কোনো সম্পত্তি থাকলে তাও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ, আমরা আমাদের বন্ধু দেশগুলিকে আশ্বস্ত করতে চাই। জানাতে চাই, আমরা তাদের পাশে আছি। আর চীনকে তার প্রতিটি কাজের জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে।
বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও খুব শীঘ্রই ওই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। হংকং তো বটেই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কিছু কর্মকর্তাও সেই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন। আমেরিকায় ওই সব কর্মকর্তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। তাদের আমেরিকায় প্রবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার কথা।