বাণিজ্য চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইইউ-ব্রিটেন

0

সপ্তাহান্তে শীর্ষ স্তরে আলোচনার পর ব্রেক্সিট-পরবর্তী সম্পর্কের লক্ষ্যে ইইউ ও ব্রিটেনের আলোচনার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে বিষয়টির নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে৷

প্রায় আট মাসে যা সম্ভব হলো না, মাত্র দুই দিনে সেই অসাধ্যসাধনের প্রচেষ্টা কতটা ফলপ্রসু হবে, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যস্থতাকারীরা সপ্তাহান্তে হাল ছেড়ে দেবার পর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন টেলিফোনে আলোচনার পর শেষ চেষ্টা চালাতে সম্মত হন৷

তারই আওতায় রোববার ও সোমবার দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা আবার মুখোমুখি হচ্ছেন৷ সোমবার সন্ধ্যায় জনসন ও ফন ডেয়ার লাইয়েন আবার টেলিফোনে কথা বলে সম্ভবত চূড়ান্ত ঘোষণা করতে চলেছেন৷ সোমবারই সব বিষয়ের নিষ্পত্তি না হলে আলোচনার সময়সীমা আরো বাড়ানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না৷

১ জানুয়ারি ব্রিটেন পাকাপাকিভাবে ইইউ ত্যাগ করলে দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যসহ বাকি সম্পর্ক স্থির করতে চুক্তি এখনো অধরা রয়ে গেছে৷ চুক্তি স্বাক্ষর ও অনুমোদনের জন্য সময়ও প্রায় শেষ৷ বৃহস্পতিবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি চূড়ান্ত করতেই হবে৷ সেই অনুযায়ী নতুন বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রস্তুতি নিতে হবে৷ চুক্তি সম্ভব হলেও সীমান্তে ব্যাপক যানজট ও জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে৷ চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে সেই মাত্রা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে৷

ব্রিটেনের ‘দ্য গার্ডিয়েন’ সংবাদপত্রের দাবি, ব্রিটেনের পানিসীমায় ইইউ দেশগুলোর জেলেদের মাছ ধরার অধিকার নিয়ে বিরোধ মিটে গেছে৷ ফলে বিরোধের তিনটি বিষয়ের মধ্যে একটির নিষ্পত্তি হয়েছে৷ ব্রিটেনের সরকারের এক সূত্র অবশ্য এমন সাফল্যের দাবি অস্বীকার করেছেন৷ ইইউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি৷ ভবিষ্যতেও অভ্যন্তরীণ বাজারের নাগাল পেতে হলে ব্রিটেনকে ইইউ পরিবেশ, সামাজিক ও শ্রম সংক্রান্ত মানদণ্ড মেনে চলার শর্ত রেখেছে ব্রাসেলস৷ সেইসঙ্গে বিরোধ মেটাতে স্পষ্ট আইনি প্রক্রিয়াও স্থির করার দাবি জানাচ্ছে ইইউ৷ এই দুটি বিষয়েরও নিষ্পত্তি হলে চুক্তি সম্ভব হতে পারে৷ তবে সোমবারই সেই সাফল্য নাও আসতে পারে৷

ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউর দরকষাকষির ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফ্রান্স অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিচ্ছে৷ ব্রিটেনকে খুব বেশি ছাড় দেয়া হলে সে দেশ এমনকি চুক্তি বানচাল করতে ভেটো প্রয়োগের ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড নিজস্ব স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে চুক্তি চাইছে৷ ইইউ কমিশন তথা ইইউ মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে আলোচনার কাঠামোর সীমা অতিক্রম না করে দরকষাকষি চালিয়ে যাচ্ছেন৷ সোমবারই বার্নিয়ে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাচ্ছেন৷ সূত্র : ডয়চে ভেলে

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com