ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: কাতার-সৌদি
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদি বলেছেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই কেবল ইসরাইলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক হতে পারে।
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে ইতালির রাজধানী রোমে বার্ষিক মিড-২০২০ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অনলাইনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের জন্য শান্তি চুক্তি হতে হবে। যে চুক্তিতে সম্মানজনক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং কার্যকরি সার্বভৌমত্বের নিশ্চয়তা থাকবে। অবশ্যই তা ফিলিস্তিনিদের মনঃপুত হতে হবে।
১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিনিময়ে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের বিষয়টি সৌদি আরব বিবেচনা করবে বলেও জানান প্রিন্স ফয়সাল।
তিনি বলেন, অবশ্যই আলোচনার ভিত্তিতে চুক্তি হতে হবে। তবে এ মুহূর্তে চুক্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনকে আলোচনার টেবিলে ফেরানো সবেচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৯৮২ সালের মরক্কোর ফেজ শহরে সর্বপ্রথম বিষয়টি আলোচনায় তুলেছিলেন তৎকালীন ক্রাউন প্রিন্স ফাহাদ। আমাদের এখনো সেই আগের দৃষ্টিভঙ্গি।
তিনি দাবি করে বলেন, ইসরাইলের এ অঞ্চলের স্বাভাবিক অংশে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক।
প্রিন্স ফয়সালের কয়েক ঘণ্টা আগে আবরাহম চুক্তি নিয়ে মিড-২০২০ সম্মেলনে ভাষণ দেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন আলদুল রাহমান আল থানি। তিনি বলেন, এসব চুক্তি ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হবে না।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরব শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষা এবং স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ থাকলে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অন্যান্য দেশের সঙ্গে অংশ নেবে কাতার।
এ মুহূর্তে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক সম্ভব না। এ প্রক্রিয়া ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষায় কোনো মূল্য রাখবে না।