বায়ুদূষণে দিল্লিকে ছাড়িয়ে শীর্ষে এখন ঢাকা, কী দিয়ে এ ‘লজ্জা’ ঢাকবে ঢাকা?
একিউআই সূচক
বায়ুদূষণে ঢাকা শীর্ষে
রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা চরমে। এতে করে বাতাসে ভাসছে ধুলা আর ক্ষতিকর উপাদান। ফলে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে বায়ুদূষণের সব সীমা। দিল্লিকে ছাড়িয়ে শীর্ষে এখন ঢাকা শহর। গতকাল আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক (একিউআই) তথ্যমতে, বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিল ঢাকা । বায়ুর গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের তথ্যনুযায়ী, ৫ই ডিসেম্বর সকালে ঢাকার বায়ুদূষণের মান ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় ৭ গুন বেশি। প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সূক্ষ্ম ধূলিকণা ছিল ৩২৯.২ মাইক্রোগ্রাম। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের দিল্লি।
যার বায়ুদূষণ মান ছিল প্রায় ৩০০। যদিও দুপুরের দিকে মান কিছুটা কমেছে। আর ২৩৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয়স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। প্রতিদিন বাতাসের মান নিয়ে প্রতিঘণ্টায় ঘণ্টায় একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে একিউআই সূচক। একিউআই সূচকে ৫০-এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাধারণ নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। বায়ুদূষণ ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসে দূষণের মান ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এ সময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রায় ২ কোটি মানুষ বসবাসরত ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণকাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের কারণে ঢাকার রাস্তাঘাট কাটায় ধুলাবালি উড়ে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষ করে এই শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করেছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.