করোনা প্রতিরোধের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবৈধ সরকারকে প্রতিরোধ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা: গয়েশ্বর
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন,‘ শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। করোনার ১০ মাসের মধ্যে শেখ হাসিনা আলোতে চেহারা আনেননি। তিনি ক্যামেরায় আছেন। আর ওনার সাথে সঙ্গী করেছেন ওবায়দুল কাদেরকে।’
গতকাল শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক দোয়া মাহফিলের তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া এ মাহফিল অনুষ্ঠিত করে শ্রমিক দল।
গত সোমবার নজরুল ইসলাম খানের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর পর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
গয়েশ্বর বলেন, আমি করোনায় আতঙ্কিত না। আমি আতঙ্কিত এই ভয়াবহ রাষ্ট্র ব্যবস্থায়। করোনার যদি মৃত্যু হয় তাহলে খুব কষ্ট পাব। কারণ করোনা প্রতিরোধের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে-সমষ্টিগতভাব- জাতিগতভাবে এই সরকারকে প্রতিরোধ-প্রতিহত করে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাসের শুরুতে একটি কথা আসছে। সভা-সমাবেশ, মিছিল,কথাবার্তা বলার আগে অনুমতি নিতে হবে। এসব মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। এসব করতে যদি অনুমতি প্রয়োজন হয় তাহলে যেগুলো মানুষের সাংবিধানিক অধিকারে না, সেগুলো করতে কেন অনুমতি নিতে হয় না?
করোনার থেকেও বেশি লোক মারা যাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যে পরিমাণ মানুষ রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় তার থেকে অনেক বেশি মানুষ মারা যায় আমাদের দেশে। কিন্তু এখানে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাসের চাকার নিচে ফেলে মানুষ মারার জন্য যখন অনুমতি নিতে হয় না। লুটপাট, দুর্নীতি, জনগণের টাকা পকেটমার, এগুলো যারা করে তারাও কিন্তু শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে, অনুমতিতেই করছে। জাতীয় জীবনে যত অপকর্ম আছে, যত স্বৈরতান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক, যত নিষ্ঠুরতা তার জন্য জবাবদিহিতা নাই, এসবের জন্য অনুমতি প্রয়োজন হয় না।’
বিএনপি এ নেতা বলেন, আইনমন্ত্রী বারবার মনে করিয়ে দেন খালেদা জিয়াকে ঘরে বসে চিকিৎসা নিতে হবে। খালেদা জিয়া আগে ছিলেন জেলবন্দি, কারাবন্দি। এখন গৃহবন্দী। আগে আইজি প্রিজনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে মাঝে মাঝে দেখা করা যেত। আইজি প্রিজন কাউকে অনুমিত দিতেন, কাউকে দিতে না। এখন অনুমতি দেওয়ার লোক নাই। সরকার দিচ্ছে না।
গয়েশ্বর আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলনে সফল হচ্ছে না বলে মাঝেমধ্যে ওবায়দুল কাদের কথার মধ্যে বিএনপির জন্য দরদ দেখা যায়। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই আন্দোলন সফল করার জন্য আপনার মতন লোককে ভারাক্রান্ত হবে না। আন্দোলন সংগ্রামে সফলতা আমাদের আছে। অতীতের সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে আবারো সফল হব, এটা গ্যারান্টি বলতে পারি।