অক্সফোর্ডের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন!
আলোচনা এখন অক্সফোর্ডের অর্ধেক ডোজ ঘিরে। মডার্না, ফাইজার, স্পুটনিকের পর সোমবার করোনা প্রতিরোধী হিসেবে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। কিন্তু আলোচনার অভিমুখ সরে গিয়েছে তৃতীয় দফার ট্রায়ালের নীতির দিকে। ব্রিটেনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশকে প্রথমে টিকার অর্ধেক ডোজ দেয়া হয়, একমাস পরে দেয়া হয় সম্পূর্ণ ডোজ। এক্ষেত্রে কার্যকারিতার হার পাওয়া গিয়েছে ৯০%। অথচ ব্রাজিলে দুটো সম্পূর্ণ ডোজ ব্যবহার করে এফিকেসি রেট পাওয়া গিয়েছে ৬২%
সোমবার রাতে আবার অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কর্তা জানান, ব্রিটেনের ট্রায়ালে ভুল করেই অর্ধেক ডোজ দেয়া হয়। পরে তা ধরা পড়লেও, হাফ ডোজ নীতি থেকে সরেননি সমীক্ষকরা। শেষে দেখা যায়, তাতেই লাভ হয়েছে বেশি। যে বিষয়টিকে সামনে রেখে ট্রায়ালের চিফ ইনভেস্টিগেটর বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেছেন, ‘হাফ ডোজ-ফুল ডোজ নীতি নিলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়া যাবে।’ শেষমেশ কি তাই হবে? সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটেনের ট্রায়ালে কেন বেশি লাভ হল, এখনও তার সদুত্তর দিতে পারেনি অক্সফোর্ড বা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অক্সফোর্ডের জেনার ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজিস্ট কেটি এওয়ার বলছেন, ‘এরকম হতে পারে অর্ধেক ডোজ দেয়ায় কিছু ইমিউন কোষ বেশি কার্যকরী হয়েছে। বিশেষ করে টি সেল। পরে বুস্টার ডোজ পড়তেই আরও চেগে উঠেছে করোনার বিরুদ্ধে।’
এই ভ্যাকসিনে শিম্পাঞ্জির কোল্ড ভাইরাস অর্থাৎ অ্যাডিনোভাইরাসকে ‘বাহক’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। অর্ধেক ডোজ দেয়ায় ভাইরাল ভেক্টর কোন ভূমিকা নিল না, সে দিকেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন কেটি। তবে সংশয় প্রকাশ করে একদল বিজ্ঞানী বলেছেন, ব্রাজিলে যেখানে আট হাজারের বেশি লোককে টিকা দেয়া হয়েছে, সেখানে ব্রিটেনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা তিন হাজারের কাছাকাছি। তাদের মতে, সংখ্যাটা বাড়ানো হলেই কার্যকারিতার হার কমে আসতে পারে। যদিও বিজ্ঞানীদের অন্য অংশের বক্তব্য, এফিকেসি রেট ৬০ শতাংশের আশপাশেই থাকলেই মহামারী ঠেকাতে কার্যকরী হবে অক্সফোর্ডের টিকা। সস্তা, সহজে সংরক্ষণ করার সুবিধা এই টিকাকেই এগিয়ে রাখবে।