শীতে চুল কুঁকড়ে যাওয়া প্রতিরোধে

0

এই সময়ে চুল বেশি রুক্ষ হয়ে পড়ে। বাইরে ঠান্ডা এবং ভেতরে উষ্ণতার কারণে চুল রুক্ষ, কোঁকড়ানো এবং অবাধ্য হয়ে পড়ে।

চুল কোঁকড়ানো প্রতিরোধে নিচের এই কাজগুলো করতে পারেন।

১. উষ্ণ পানি ব্যবহার: খুব বেশি ঠান্ডা বা গরম পানির পরিবর্তে উষ্ণ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলগুলো গোড়া থেকে সোজার এবং জড়ো হয়ে থাকতে সহায়তা করবে। এতে চুলের ভেতর ময়লা ঢুকতে দেয় না এবং মাথার ত্বক দূষণ মুক্ত থাকে।

২. হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করা: চুল শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের গোড়া থেকেই আর্দ্রতা দূর হয়ে যায়। এতে চুল নিস্তেজ এবং রুক্ষ হয়ে পড়ে। এ কারণে প্রাকৃতিক উপায়েই চুল শুকাতে হবে।

৩. কলা ও অ্যাভাকোডার মাস্ক: একটি পাকা কলা এবং দুটি অ্যাভাকোডা চটকিয়ে পেস্ট তৈরি কর নিন। মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই মাস্ক চুলের স্থিতিস্থাপকতা এবং আর্দ্রতা ধরে রাখবে। চুল মসৃণ ও সোজা হয়ে থাকতে সহায়তা করবে।

৪. চাল ধোয়া পানি, দুধ, এবং মধুর পেস্ট: রাইস মিল্ক ও মধুর মিশ্রণ চুলের নানা সমস্যা সমাধানে কার্যকরী। পানিতে চাল ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। চাল ধোয়া পানির সঙ্গে দুধ এবং মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথায় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার উষ্ণ পানিতে চুল ধুয়ে নিন। এটি চুলে ফোলাভাব আনবে এবং গোড়া থেকে চুল মজবুত করবে।

৫. ডিমের কুসুম: এলোমেলো চুল ঠিক করতে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ডিমের কুসুম বেশ উপকারী। মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে ঝলমলে করবে এবং চুল হবে আর্দ্র।

৬. নিয়মিত তেল দেয়া: শীতে নিয়মিত চুলে তেল দিতে হবে। ক্যাস্টর এবং নারকেল তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। এটি ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়াতে সহায়তা করে, চুলকে করে মসৃণ। এটি খুশকির সমস্যা দূর করে।   

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com