উত্তর প্রদেশে আবারও দলিত কিশোরী গণধর্ষণ, মামলায় গড়িমসি
কিছুদিন আগে উত্তর প্রদেশের হাথরাস এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক দলিত নারী। টানা ১৫ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানেন তিনি। এর কয়েক দিন যেতে না যেতেই হাথরাস থেকে মাত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরে গণধর্ষণ করা হয় ২২ বছরের এক দলিত তরুণীকে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনিও।
এসব ঘটনার পরে বেশ কিছুদিন ভারতজুড়ে বেশ তোলপাড় চললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হয়ে আসে সব আলোচনা। থামে না ধর্ষণের ঘটনা। এর সবশেষ নজির দেখাল সেই উত্তর প্রদেশই। এ সপ্তাহে রাজ্যটিতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে আরেক দলিত কিশোরী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ছোটভাইকে নিয়ে একটি পাবলিক টয়লেটে গেলে সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে তিন পাষণ্ড। অভিযুক্ত তিনজন ওই মেয়েটিরই গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে আবার একজন সাবেক গ্রামপ্রধান।
গত সোমবার উত্তর প্রদেশের ইটাহ এলাকায় ঘটেছে এ বর্বরোচিত ঘটনা। তবে এ নিয়ে এফআইআর দায়ের হয়েছে আরও দু’দিন পর, গত বুধবারে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ ফিরিয়ে দিয়েছিল বলে দাবি করেছে ভু্ক্তভোগী পরিবারটি।
তারা জানিয়েছে, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপেই তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।
অভিযোগে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেছেন, ১৬ বছরের মেয়েটি তার ছয় বছরের ভাইকে সঙ্গ দিতে পাবলিক টয়লেটে প্রবেশ করেছিল। সেমসময় তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।
অভিযোগে সাবেক গ্রামপ্রধান রাজিব (৫০), আর তার দুই সহচর আকাশ (১৮) ও অনিলের (২২) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্ষকরা এ ঘটনা কাউকে বললে মেয়েটিকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর মা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওম প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সাবেক গ্রামপ্রধান এখনও পলাতক রযেছেন, তবে তার দুই সহচরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযোগ নিতে বিলম্বের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আলিগঞ্জ থানার হাউস অফিসার পঙ্গজ কুমার মিশ্র দাবি করেন, তাদের কাছে কেউ অভিযোগ জানাতেই আসেননি।
তিনি বলেন, আমরা বুধবার অভিযোগ পেয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে ৩৭৬ডি, ৩৪২, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ধারায় মামলা করেছি।
সার্কেল অফিসার অজয় কুমার বলেছেন, ভুক্তভোগী মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার বয়স নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে এফআইআরে পকসো আইনের (শিশুদের যৌন সুরক্ষা আইন) ধারাও যোগ করা হবে।