নেত্রীর মুক্তি কবে ?

0

আরিফ মাহফুজ: দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন মা- আর অন্য সব মায়ের মতই মমতাময়ী। তিনিও চান জীবনের শেষ সময়ে তাঁর সন্তান, নাতি-নাতনিরা পাশে থাক সব সময় কিন্তুু সবকিছু থেকে আজ বিসর্জিত তিনি । দলের চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী কিংবা স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী যাই বলা হউক না কেন , সব কিছুর উর্দ্ধে তিনি একজন মা, একটি স্বাধীন বাংলাদেশের একজন নাগরিক । বিনা অপরাধে কেন তাঁকে কারাগারের অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে এই বিভীষিকা ময় দিন গুলো ? নোংরা রাজনীতির বলিতে নিসৃত হচ্ছে তাঁর জীবনের পড়ন্ত বেলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন গুলো। একটি স্বাধীন দেশে গনতন্ত্র রক্ষা এবং সুন্দর স্বপ্নীল ভুখন্ডে সাধারন মানুয়ের অধিকার রক্ষা করার জন্য শাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পরিনামই যদি হয় কারাবরণের নামের প্রহসন , তাহলে কেন স্বাধীন করা হয়েছিল পাকিস্থানীদের হাত থেকে আমাদের এই মানচিত্র ? স্বাধীনতা কি শুধু কাগজে লেখা একটি শব্দ ? আর আকটি আঁকা মানচিত্র ? হয়তবা বর্তমান লুটেরাদের কাছে এটাই স্বাধীনতার অর্থ । কিন্তুু বেগম খালেদা জিয়ার কাছে স্বাধীনতার মানে হচ্ছে পূর্ণ স্বাধীনতা, যেখানে থাকবে সাধারন মানুষের শতভাগ মৌলিক অধিকার,থাকবে মুক্তভাবে কথা বলার অধিকার, থাকবে গণমাধ্যমের শতভাগ স্বাধীননতা। বিদেশ প্রসূত ষড়যন্ত্র থাকবে অকার্যকর। যা ছিল বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ। যাই হউক এদিকে এগিয়ে গিয়ে লাভ নেই। আসল কথা হলো কবে হবে দেশনেত্রীর মুক্তি? ক্যালেন্ডারের পাতা প্রতিদিন উল্টে যাচ্ছে একটার পর একটা আর ফেইবুকের পোস্টে যাচ্ছে আমাদের পোস্টার দেশ নেত্রীর মুক্তি চাই। নেত্রীর মুক্তি না হলেও নিজের নেতা হয়ে উঠার বিজ্ঞাপন ত চলছেই অবিরাম । শুধু ফেইসবুকে পোস্টার দিলেই যদি আন্দোলন সফল হত তাহলে স্বশরীরে আন্দোলনের রুপ রেখার কোন প্রয়োজনই ছিল না। স্ব-শরীরে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। দেশে এখন কোন আন্দোলন হচ্ছে না কেন ? রাজপথে সরকারের কোন প্রতিপক্ষ নেই । সরকার ত নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। আর লুটেরা লুট করছে যার যার ইচ্ছামত। রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্টানকে নিঃষেশ করে দিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করছে। এ অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে এখন দরকার একটি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব যা বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া আদৌ সম্ভব না। তাই দরকার একটি জোড়ালো আন্দোলন । আর কোন জড়ালো আন্দোলন বেগবান করার জন্য সবচেয়ে জরুরী দলের সাংগঠনিক অবকাঠামো শক্ত করা। সংগঠনের অবকাঠামো ভঙ্গুর রেখে আর দালাল টাইপের লোকজন দলে রেখে কখনও বেগম জিয়া মুক্তি আন্দোলন সফল করা সম্ভব হবে না। ১ বছর ৯ মাসের মত সময় ধরে বেগম জিয়া বন্দী । এতদিন পর্যন্ত একটি ধারালো আন্দোলন হয়নি যাতে করে সরকারের টনক নড়ে। এত বৃহৎ সংগঠন কিন্তু ু এখনও মুক্তকরা গেল নেত্রীকে, তাহলে এই ব্যার্থতা কার ? একটি জামিন নেয়া গেল না, এই ব্যার্থতা কার ? এই ব্যর্থতা অবশ্যই আমারদের সবার। যে আদালত শেখ হাসিনার নির্দেশে চলে সে আদালত থেকে কখনও নেত্রীর জামিন হবেনা সে আদালত থেকে কখনও নেত্রীর মুক্তি হবে না। নেত্রীর মুক্তির জন্য দরকার রাজপথের অসহযোগ আন্দোলন যেখানে থাকবে শহীর জিয়ার খাঁটি সৈনিকেরা। কোন দালাল টাইপের মোনাফেকদের নিয়ে আন্দোলন করলে তা সফল হবে না। তাই এদেরকে খোঁজে বের করে বাদ দিতে হবে। এঁদের চেয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে এখন দেশ ও জাতির বড়ই প্রয়োজন । দল-দেশ এবং দেশের অসহায় জনগনের সময় খুবই অল্প, দুর্নীতির নরক পিন্ড থেকে আজ দেশে প্রায় ২০ কোটি মানুষ উদ্ধার পেতে চায়। আর তাঁরা দাবেদারী করতে চায় না প্রতিবেশী রাষ্ট্রের। গণতন্ত্র উদ্ধারে একজনই বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর ‘‘ দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া‘‘ তাঁর কোন বিকল্প নেই। মুক্তি হোক দেশনেত্রীর, মুক্তি পাক গনতন্ত্র।

লেখক

আরিফ মাহফুজ

নির্বাহী সদস্য(সাবেক),যুক্তরাজ্য বিএনপি

যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক(সাবেক)

,যুক্তরাজ্য জাসাস

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com