রাষ্ট্রীয়ভাবে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের দাবি ন্যাপের

0

আগামী ১৭ নভেম্বর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য সরকার ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

রোববার (১৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যাবে, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন, এমনকি স্বাধীনতার স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন। মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালি চেতনার এক অভিন্ন নাম। আমাদের চেতনার দুটি স্রোতধারার মিলিত একটি মোহনা।

নেতৃদ্বয় বলেন, মওলানা ভাসানী তার দীর্ঘ কর্মজীবনে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সমাজ-রাষ্ট্রে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী কিংবদন্তি।

তারা বলেন, আজীবন সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সমগ্র জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন চির বিপ্লবী ও বিদ্রোহী মওলানা ভাসানী। বৃটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের শোষন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বাধীনতা পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভারতীয় আধিপত্যবাদী-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম, প্রবীন বয়সে ১৯৭৬ সালের ফারাক্কা লংমার্চসহ ইতিহাসের প্রতিটি বাকে তিনি আছেন।

তারা বলেন, আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন মওলানা ভাসানী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক পিতা ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে তার প্রাপ্ত মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে আগামীতে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com