সেদিন যদি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র না দিতেন তাহলে আজ আওয়ামী লীগ থাকতো না: খোকন
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত নন। আমি শেখ হাসিনার সাথে চ্যালেঞ্জ করলাম, জিয়াউর রহমান জড়িত তা প্রমাণ করেন।’
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে এক মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
খোকন বলেন, ‘১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমানের কোনও ভূমিকা ছিল না। সেদিন সব ভূমিকা ছিল মোশতাকের। সেই মোশতাক কে? তিনি হলেন আওয়ামী লীগের নেতা। তার মন্ত্রিসভায় সব আওয়ামী লীগের নেতা ছিল। তাদের শপথ পড়িয়েছেন এইচ টি ইমাম। সেই শপথ অনুষ্ঠানে তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহসহ সবাই গিয়েছিলো। একমাত্র জিয়াউর রহমান যান নাই। তার পরেও আওয়ামী লীগ বলে জিয়াউর রহমান মুজিব হত্যায় জড়িত। তাহলে প্রমাণ করেন। আমি শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করলাম- প্রমাণ করতে হবে, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন কি-না।’
৭ নভেম্বরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দু’বার স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। পরবর্তী ৫ বছর ভারতের আধিপত্য থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর জনতা সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছেন।’
আওয়ামী লীগকে পুনর্জন্ম দিয়েছেন জিয়াউর রহমান- এমন মন্তব্য করে খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘বাকশাল কায়েম করে আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়েছিল। বিলুপ্ত হয়েছিল। সেই আওয়ামী লীগকে পুনর্জন্ম দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান যদি আওয়ামী লীগের জাতির পিতা হয় তাহলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা। এটা আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সেদিন যদি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র না দিতেন তাহলে আজ আওয়ামী লীগ থাকতো না। অথচ আজ তারা জিয়াউর রহমানকে কটাক্ষ করে। তাঁর নামে মিথ্যা কথা ছড়ায়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বি এন পির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলু, ডিএল এর সভাপতি সাইফুদ্দিন মনি,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদউদ্দিন, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসললাম রিপন প্রমুখ।