তারেক রহমান দিনরাত পরিশ্রম করে যুব সমাজকে উৎসাহিত করছেন, গণতন্ত্র ফিরে আসবেই: গয়েশ্বর

0

ব্যক্তির মৃত্যু হলেও আদর্শ বা চেতনার মৃত্যু হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যারা এই জাতীয়তাবাদী শক্তির মৃত্যু দেখতে চেয়েছিলেন, তাদের ভাবনা সফল হয়নি। ব্যক্তির মৃত্যু হলেও আদর্শ বা চেতনার মৃত্যু হয় না। জিয়াউর রহমান আমাদের কাছে একটি চেতনা। যে চেতনা দেশকে ভালোবাসতে শেখায়, যে চেতনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আমাদেরকে সাহসী করে তোলে।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রামের সেই ধারায় নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি নয় বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপোষহীন আন্দোলন করেছেন…। পরবর্তীতে আজকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশের মাটিতে বসে দিনরাত পরিশ্রম করে যুব সমাজকে উৎসাহিত করছেন, আমরা জানি এর ফলাফল আমরা ভবিষ্যতে পাবো, গণতন্ত্র ফিরে আসবেই।’

ভার্চুয়াল আলোচনায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘৭ নভেম্বরকে আমরা বলি, সিপাহী জনতার বিপ্লব। নিঃসন্দেহে সিপাহী-জনতার বিপ্লব। কিন্তু জাসদ পন্থিগণ যেই বিপ্লবের চিন্তা করেছিল সেটা নয়। এটা হলো বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য সামরিক বাহিনীর তথা সেনাবাহিনীর যে অংশ আন্তরিক ছিল, যারা উদ্বিগ্ন ছিল তাদের সাথে থাকা ঢাকা মহানগরীর জনগণ যারা শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশ চায়, যারা শহীদ জিয়াকে পছন্দ করতেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতেন তাদের পক্ষ থেকে বিপ্লব এবং তার মাধ্যমে জাতীয় সংহতি- এই জাতিকে যে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছিল এই জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলা হয়েছিল সেটা তিনি (জিয়াউর রহমান) ফিরিয়ে আনেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বেদনা অনুভব করি যে, জাসদপন্থি বিপ্লবীগণ কিছুসংখ্যক অফিসারকে হত্যা করেছিলেন। আমি একজন অফিসার হিসেবে এটার জন্য দুঃখপ্রকাশ করি। আমিও সেদিন হত্যার শিকার হতে পারতাম। কিন্তু আমি তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যাদের সঙ্গে আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যাদের সঙ্গে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছি তাদের কাছে গিয়ে বলেছিলাম, আপনারা সৈনিক আমি অফিসার। আপনারা চাইলে আমাকে হত্যা করতে পারেন আর যদি ইচ্ছা করেন হত্যা করবেন না তাহলে আমার কমান্ড মানতে হবে। সৈনিকগণ বলেছিলেন, ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি অনুগত, সৈনিকরা জিয়াউর রহমানের পক্ষে আছে, আপনি আমাদের নেতৃত্ব দেবেন এবং এই মোতাবেক কাজ করবো।’

দিবসটি উপলক্ষে সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ বক্তব্য রাখেন। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com