গুম-খুন নির্যাতন করা কোনো সরকার বা সরকারি দলের কাজ হতে পারে না: নজরুল

0

সরকার ও সরকারি দলের দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অনিয়ম কর্মকাণ্ড দেশের মানুষের পছন্দ না, তা বুঝিয়ে দিতে আগামী (১২ নভেম্বর) ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। 

শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেয়ার পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।  এরআগে তিনি উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে আমান জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। 

নামাজ শেষে পথ সভায় হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে বিশ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই উত্তরাবাসীর সামনে একটা সুযোগ এসেছে, দেশে যা কিছু হচ্ছে, যা কিছু ঘটছে তা আমরা পছন্দ করি না- এ সবই বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে হচ্ছে।  এর প্রতিবাদে আপনার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ধানের শীষে ভোট দিয়ে সরকারকে জানান দিবেন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে ঢাকা-৫ আসনে ভোট হলো।  দশ শতাংশ মানুষ ভোট কেন্দ্র গিয়েছে।  শতকরা ৮ ভাগের মতো আওয়ামী লীগের লোক গেছে।  সেখানে যদি শতকরা ১০ ভাগ বিএনপির লোক যেত তাহলে তো আমরা জিততেই পারতাম।  কাজেই আপনারা যত সংখ্যক ভোট কেন্দ্রে যাবেন ততো এই সরকারের বিপক্ষে রেজাল্ট যাবে। ’

তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের মনে কথা বলেছিলেন জিয়াউর রহমান, ৯০ তে বলেছেন খালেদা জিয়া, ২০০১ সালেও বলেছেন খালেদা জিয়া।  সেই জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে আমাদের জাহাঙ্গীর (১২ নভেম্বর) আপনাদের সামনে থাকবে।  আপনারা তাকে সমর্থণ করুন। ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করুন।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘সরকারকে বুঝতে দিন সরকার যা করছে সেটা সঠিক নয়।  গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে কাজ করা, দুর্নীতি করা, গুম, খুন নির্যাতন করা কোনো সরকার বা সরকারি দলের কাজ হতে পারে না।  কাজেই এসব তাদের বন্ধ করতে হবে।  আমরা সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই। গণতন্ত্রের পথেই আমাদের হাটতে হবে।  সেটা করার সুযোগ আগামী ১২ নভেম্বর।  আপানাদের সবার পক্ষ থেকে এই ধানের শীষ এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের হাতে তুলে দিলাম।’

এদিকে আজকের শুক্রবারে গণসংযোগে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন।  এ সময় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে গণসংযোগ বিশাল সমাবেশে রূপ নেয়। 

এ সময় বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের গণসংযোগে এভাবেই হাজারো মানুষ অংশনেয়।  ধানের শীষের গণসংযোগ মানেই একটা বিশাল স্বতঃস্ফুর্ত সমাবেশ।  এই জনসমর্থণ দেখে আমাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নেতা-কর্মীরা ভয় পেয়ে গেছে।  এ কারণে প্রতিদিনই আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়।  আমি প্রশাসনকে বলব, একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ’

ভোটার ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে ধানের শীষের এ প্রার্থী বলেন, ‘আপনারা আগমী  (১২ নভেম্বর) ভোট কেন্দ্রে যাবেন, ধানের শীষে ভোট দিবেন।  প্রতিটি বুথে আমাদের পোলিং এজেন্ট থাকবে, কেন্দ্রের আশপাশে নেতাকর্মীরাও থাকবে। ’

সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে এস এম জাহাঙ্গীরসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে নজরুল ইসলাম খান গণসংযোগে নেমে পড়েন।  উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন সড়কে গণসংযোগ করেন।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, উত্তরের মেয়র প্রার্থী হিসেবে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে অংশনেয়া তাবিথ আউয়াল, কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদুল ইসলাম বাবুল কাজী, আবুল বাশার, হাবিবুর রশিদ হাবিব, বজলুল বাছিত আনজু, রাজীব আহসান, আবদুল আলীম নকী, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, রফিক শিকদার, হায়দার আলী লেলিন, ওমর ফারুক শাফিন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, ওলামা দলের আহ্বায়ক নেসারুল হক, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, প্রচার সম্পাদক নাজনীন মাহমুদ, আদাবর থানা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিনা আফরিন নিতা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনসহ বিপুল সংখ্যক নেতকর্মী। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com