‘বোরকা পরে’ ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বোরকা পরে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে মারধর ও ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় সেখান থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণালংকারও লুটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীকে রাতেই গুরুতর অবস্থায় স্পিডবোটে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার সকালেই পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ (পমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল দুজনকে আটক করে চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নেওয়া হয়। তারা হলেন চরমোন্তাজের চরমার্গারেট এলাকার মজিবর শরিফের ছেলে দর্জি শাকিল (২০) ও চরলক্ষ্মী গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে আল হাদি (২২)।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, তিনি বাইরে থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাত ৯টার দিকে তার মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ফোন আসে। পরে ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি দ্রুত বাড়িতে গিয়ে অন্ধকার ঘরে ছেলে-মেয়ের কান্না শুনতে পান। টর্চলাইট জ্বেলে দেখেন, তার স্ত্রীর হাত টেবিলে ও নাক-মুখ-চোখ ওড়না দিয়ে বাঁধা। পরে তার চিৎকারে লোকজন আসে। এর মধ্যে স্ত্রী জ্ঞান হারান।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. আলী আহম্মেদ বলেন, “গলাচিপা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, ‘একজন রোগী এসেছিলেন। রোগীর বক্তব্য অনুযায়ী তাকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে ধর্ষণ কি না তা বলতে পারছি না।’ ঘটনার তদন্ত চলছে।”
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘ভিকটিমের স্বামী ঘটনায় জড়িত তিনজনের নাম বলেছেন। বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’