গণতন্ত্র ফেরাতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রয়োজন: দুদু
দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত বাতাসে ঘুরতে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে; জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হবে। আইন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে আজকে যারা অপরাধের সাথে জড়িত, তারা সরকারি দলের হোক অন্য যে কোনো দলেরই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলাবাহিনী দ্বিধাবোধ করবে না।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান এবং রুহুল কবীর রিজভীসহ সকল নেতৃবৃন্দের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মহামারি করোনা ভাইরাসের চেয়েও বর্তমান স্বৈরাচারী দখলদার সরকার বেশি ভয়ঙ্কর মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অবৈধ সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা লিপ্ত রয়েছে।
কৃষকদলের এই আহবায়ক বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকার কারণ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ,বিচার ব্যবস্থা প্রতি মানুষের যে বিশ্বাসহীনতা, মানুষের এই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে যদি আইনের শাসন থাকতো তাহলে সুবিচারের প্রশ্ন আসতো না। দেশে যদি গণতন্ত্র থাকতো তাহলে সুবিচারের প্রশ্ন আসত না। দেশে যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তার চেতনা থাকলে সুবিচারের প্রশ্ন আসতো না। বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে স্বৈরাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত করেছে এই সরকার।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশে করোনার চলমান আতঙ্কের থেকেও ভয়ঙ্কর ভাইরাস হচ্ছে বর্তমান স্বৈরাচারী দখলদার সরকার। অবৈধ সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান অসুস্থ অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসাধীন আছেন, এই বর্তমান অবৈধ সরকারের শীর্ষ থেকে শুরু করে সকল মন্ত্রী সংসদ সদস্য সার্বক্ষণিক তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষের অত্যন্ত ভালোবাসার একটি নাম। তারেক রহমান যাতে বাংলাদেশের মাটিতে স্বাভাবিকভাবে বিচরণ করতে না পারে, দেশে যাতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য যত রকম অপচেষ্টা আছে সবই করে যাচ্ছে বর্তমান বাকশালী সরকার। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী এই বাকশালী স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশের এক মাত্র আপোষহীন নেত্রী হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া তিনি অন্যায়ের কাছে কখোনো আপোষ করেন নাই; করবেনও না। তিনি অসুস্থ্য তাকে খোলা বাতাসে ঘুরে বেড়ানো দরকার।
তিনি আরও বলেন, শত হামলা-মামলা, নির্যাতন-নিপীড়ণের পরেও বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে এসব মোকাবেলা করছেন। আল্লাহর রহমতে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বও রক্ষা করবো। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও তার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকো সহ যে সকল নেতৃবৃন্দ মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ সারাদেশের সকল নেতৃবৃন্দের রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এসকে সাদি, মাইনুল ইসলাম, আলিম হোসেন, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুর রাজি, শফিকুল ইসলাম, মীর মমিনুর রহমান সুজন, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।