অনির্বাচিত আ.লীগ সরকার গণতন্ত্রের ভাষা বুঝে না, তাই এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছাড়া উপায় নেই: গয়েশ্বর

0

দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে ১৭ অক্টোবর আসন্ন ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটারদের ‘ভোটে জবাব’ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 

সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ‘কেন্দ্রে যাওয়ার পর যদি ভোটারদের ভোট দিতে না দেয়া হয় তাহলে ১৭ তারিখ রাত ১২টা থেকে ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেট রুটে কোনও গাড়ি চলবে না। ১৭ তারিখের নির্বাচনে কোনও তালবাহানা মানা হবে না।’ 

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘অতীতে অনেক অপকর্ম করে হজম করলেও এবার বদহজম হবে। আন্দোলন ছাড়া কোনও পথ নাই। ভদ্র ভাষায় কথা বললে তারা বুঝে না। গণতন্ত্রের ভাষা তারা বুঝে না। মানবতাবোধ বলতে তাদের কিছু নেই। তারা পুলিশের ওপর ভর করে টিকে আছে।’ 

গতকাল রবিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়া এলাকায় ঢাকা-৫ এর উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনী মিছিলপূর্ব এক বিশাল পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

‘এ সরকার নানা রোগে রোগাক্রান্ত, তবে তাদের হজমশক্তি বেশি’ মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘পিলখানার ৫৬ জন চৌকস সামরিক কর্মকর্তা জীবন দিলো, এটাও সরকার হজম করে ফেলেছে। শেয়ার মার্কেট থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকাও হজম করে ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৬০০ কোটি টাকা, সেটাও হজম। খুন, গুম, নারী ধর্ষণ এরকম হাজার বিষয় হজম করেছে। সরকারের হজম শক্তিটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে আমি সরকারকে বলবো- ১৭ তারিখের নির্বাচনে তালবাহানা করলে কিন্তু বদহজম শুরু হবে। তখন কিন্তু হাসপাতালে নিতে হবে সরকারকে।’ 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৯৭০ এর নির্বাচনে ভোটের ফলাফল না মানার কারণে আমরা যদি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করতে পারি, যদি আমার মায়ের সম্ভ্রম নষ্ট হতে পারে, যদি আমার পাশ থেকে আমার ভাই শহীদ হয়, তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে পাক বাহিনী যে কাণ্ডটা করেছে সেটা কি আজও দেখতে চাই? প্রশ্ন জাগতে পারে, এখানে পাক বাহিনী আসলো কোথা থেকে? পাক বাহিনী না আসলেও তাদের প্রেতাত্মা আসছে। ফলে নারী ধর্ষণ হচ্ছে, শিশু ধর্ষণ হচ্ছে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘পাকিস্তানিরাও কিন্তু ৯ মাস যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। কিন্তু আমাদের ছোট ছোট শিশুদের বা ৭০ বছরের বৃদ্ধাদের সম্ভ্রমহানি করেছে এমন সংবাদ আমরা পাইনি। এখন ৯ থেকে ৯০, কারো রেহাই নাই। ৭১ এ যুদ্ধকালীন সময়ে পাক বাহিনীর যে বর্বরতা ছিলো তার চাইতেও কিন্তু কঠিন বর্বরতা চলছে এখন। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই আমরা সেটা দেখতে পাই।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com