অবৈধ আ.লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হলে, লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে: নুর

0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর সরকারের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘পৃথিবীতে কোনও স্বৈরাশাসক টিকতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না। চ্যালেঞ্জ করলাম, দুদিন আগে-পরে আপনাদেরও চলে যেতে হবে।’

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা য‌দি স্বেচ্ছায় না যান তাহলে নির্মম-নিষ্ঠুর পরিণতির মধ্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে। তবে আমরা চাই না মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী একটি দল, বঙ্গবন্ধুর একটি দল স্বৈরাচারী খেতাব নিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিক।’

রবিবার (১১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ভিপি নুর বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ধর্ষণের মহোৎসব চলছে। এটাতো একদিনে হয়নি। এই যে দেশে যুবলীগের ক্যাসিনোকাণ্ড, ওসি প্রদীপের ঘটনা, ছাত্রলীগ নেতাদের এমসি কলেজে গৃহবধূকে ধর্ষণ- বর্তমান সরকার তো টি‌কেই আছে এই ছাত্রলীগ, ক্যাসিনো যুবলীগ, ওসি প্রদীপের মতো লোকদের দিয়ে। তাই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির যদি পরিবর্তন করা না যায়, এই অবৈধ সরকারের যদি পতন ঘটানো না যায়, তবে ধর্ষণ-নির্যাতন থেকে দেশের মা-বোনেরা মুক্ত হতে পারবেন না।’

‘পরিবর্তন আনতে হলে লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার আর শনিবার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, জনসমাবেশ, বিক্ষোভ সমাবেশ করে কোনও লাভ হবে না। গুণগত পরিবর্তন করতে হলে লড়াই-সংগ্রাম করতেই হবে। এবং বিভিন্ন জায়গায় যারা সংগ্রাম করছেন সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে একত্রিত হয়ে লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে। তাহলেই চূড়ান্তভাবে সফল হওয়া যাবে।’

‘স্বৈরাচারী সরকারের কুশীলবদের বিচার করা হবে’- এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ডাকসুর সাবেক এই সহ-সভাপতি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ৪২ বছর পরে এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। ২০০৮ সালে ওয়ান-ইলেভেনের পড়ে যারা এদেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একটা স্বৈরাশাসন কায়েম করেছে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে ভিন্নমত দমন করে গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে, আপনাদেরও বিচার হবে। যেদিন এই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সেইদিন খুব বেশি দূরে নয়।’

‘প্রয়োজনে জীবন দিবও তারপরও এই দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো’- যোগ করেন তিনি।

যুবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোনও দেশে বৃদ্ধরা আন্দোলন করেন নাই। সব আন্দোলনই যুবকরা করেছে। ছাত্ররা করেছে। বৃদ্ধরা শুধু পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাই এই টগবগে যুবকদের একত্রিত হয়ে আন্দোলন করতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে।’

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com