আ.লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই নৈরাজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে
১৯৭২ সাল থেকে যত রকম অপকর্ম হয়েছে তার সাথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা জড়িত ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় সিলেটে এমসি কলেজে ছাত্রলীগ কর্তৃক গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনাটি বিএনপি কিভাবে দেখছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এরকম ঘটনা নতুন নয়। গত কয়েক বছর যাবৎ আমরা সেটা দেখতে পাচ্ছি। ধর্ষণের সংখ্যা এমনভাবে বেড়েছে যা অতীতে আমরা কখনো দেখিনি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একটি পুরাতন দল যাদের ছাত্র সংগঠনের একটি ঐতিহ্য আছে তাদের নেতারাই এরকম প্রতিটি ঘটনার সাথে জড়িত। এর আগেও তারা ধর্ষণের সেঞ্চুরি পার করেছে এরকম ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এটা একটা চরিত্রগত ব্যাপার।
এসময় তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে যত রকম অপকর্ম আছে, ত্রাণের সামগ্রী চুরি করা থেকে শুরু করে সব অপরাধের সাথে আওয়ামী লীগের নেতা যুবলীগের নেতা অথবা ছাত্রলীগের নেতারা জড়িত। অবিলম্বে আমরা এসকল দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
স্বামীর সামনে গাড়ি থেকে তু্লে নেয়া হয়েছে এই যে একটি চিত্র এটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা একটি ভয়াবহ চিত্র এবং এটাই বর্তমান সমাজের বাস্তব চিত্র। দেশের কোথাও কোনো নিরাপত্তা নেই। আজ দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই এরকম নৈরাজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দুঃখের বিষয় আজকে যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তে আছেন তারা সরকারের সাথে এক হয়ে এই অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। আপনারা লক্ষ্য করেছেন এইতো কিছুদিন আগে কক্সবাজারে তল্লাশি চৌকিতে একজন সেনা কর্মকর্তাকে একটা হত্যা করা হয়েছে। কক্সবাজারের সমস্ত পুলিশদের বদলি করার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ওখানে এই পর্যন্ত যত ক্রসফায়ার হয়েছে তা পরিকল্পিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বিষয় সফল হয়েছে, সেটি হলো তারা সারা দেশের মানুষের মাঝে একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পেরেছে। সমাজের প্রত্যেকটা স্তরে একটি নিরাপত্তার অভাব ও ভয় কাজ করছে। একসময় যারা বিভিন্ন দাবি নিয়ে উচ্চস্বরে কথা বলতেন তারাও এখন কথা বলছে না।