জিয়া-খালেদা-তারেক সম্পর্কে ‘সুপরিকল্পিত অপপ্রচারের’ অভিযোগ বিএনপির
লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের আগের রাতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলকারী সরকার যখন করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যখন সরকারের চরম উদাসীনতায় লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, হাজারও মানুষ ভংগুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য প্রাণ হারাচ্ছে, যখন সরকারি দলের লুটেরাদের দুর্নীতির কারণে অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে, রাষ্ট্রর সব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ ও দুর্নীতির কবলে পড়ে দুঃশাসন সৃষ্টি করেছে, জনগণের আস্থা যখন শূন্যের কোঠায়, তখন জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত মিথ্যাচার এক গভীর ষড়যন্ত্র।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক চ্যানেল সরকারের নির্দেশে সম্পূর্ণ বিকৃত, বিকারগ্রস্ত মানসিকতায় তথা কথিত নাটক নামে পরিবেশন তারই একটি অংশ।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈচারারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ায় তার যে অবদান সেটা জাতি সব সময় শ্রদ্ধা আর ভালবাসার সঙ্গে মনে রেখেছে। তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে পরাজিত করা যাবে না।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারেক রহমানকে নির্যাতন করে পঙ্গু করার অপচেষ্টা, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে তার ভাবমূর্তিকে হেয় করা যাবে না। দেশের সকল স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে এই দুঃসময়ে এই ভয়ংকর গণতন্ত্রহীন সংকটে নেতৃত্বের আশার আলোর দিশারী তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার তাকে তার লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘দলের স্থায়ী কমিটির সভায় পরিকল্পিত মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য দলের অঙ্গসংগঠনসমূহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, জাসাস, মুক্তিযোদ্ধা দল, সকল জেলার বিএনপি ও অঙ্গসমূহ কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করবে। একইসঙ্গে সভা, সেমিনার, ওযেবিনার, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’
তিনি বলেন, ‘সভায় বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিএনপি কোনও ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জনগণের ভালবাসা ও সমর্থনে বিশ্বাসী বিএনপি।’
তিনি বলেন, ‘পাবনা-৪ আসনে উপনির্বাচন আবারও প্রমাণ করেছে যে, এই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনার যোগ্য নয়। তারা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধংস করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে এই নির্বাচনকে বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়।