একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা-৫ নিয়ে কিছু কথা

0

রহমান সিদ্দিকঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদ। উনার রাজনীতিটা শুরু স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদপ্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবের হাত ধরে। উনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবের অবর্তমানে বিএনপির হাল ধরেন উনার সহধর্মীনী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।তখন থেকে আজ অবধি আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদ সাহেব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একজন অনুগত ওআস্থাভাজন কর্মী হয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনীতি করে আসছেন।

দলের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সালাউদ্দিন আহমেদ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রতিটা প্রয়োজনে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেউনি ভোট কেন্দ্রে ভোট চুরির বিরুদ্ধে দাড়াতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনা দ্বারা। রক্তে উনার সমস্ত শরীরমেখে গিয়েছিলো সেদিন। পরবর্তীতে উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় চিকিৎসা দেয়ার জন্য। উনার এই রক্তাক্ত শরীরটা সেদিনএদেশের প্রতিটা মানুষ অবলোকন করেছিলেন মিডিয়ার মাধ্যমে।

ঢাকা-৫ আসনের উপ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উনাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। উনি এর আগেও ঢাকা-৫আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে তিন তিন বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই সময়ে উনি উনার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৫এর জনগনের জন্য প্রতিটা খাতে উন্নয়নের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। উনি শিক্ষা,স্বাস্থ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উনি অনেকউন্নয়নের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। সেসময় বিশেষ করে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী,শ্যামপুর নির্বাচনী এলাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কলেজছিলোনা। উনি দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,ডেমরা কলেজ,শহীদ জিয়া বালিকা বিদ্যালয় কলেজ, শামসুল হক স্কুল এন্ডকলেজ,লতিফ ভূঁইয়া কলেজ সহ প্রায় ১২ টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজের পাশাপাশি তিনি তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৫ এ৩৬ টি হাইস্কুল ও ৫০ টির মতো প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি উনি উনার এলাকার সকলের মাঝেচিকিৎসা সেবা পৌছে দেয়ার জন্য প্রাথমিক ভাবে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে দেশনেত্রীবেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে সেই হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২০০ শয্যায় উন্নিত করেন এবং সেখানে আরও ১০ একর জমিক্রয় করেন একটি জেনারেল হাসপাতাল করার জন্য। উনি নগরবাসীর চির সমস্যা জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য নানাবিধ প্রকল্পবাস্তবায়ন করে কিছুটা হলেও নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।

আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদ নগরবাসীসহ আশেপাশের এলাকাগুলোকে একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আনতেঅনেক নতুন রাস্তাঘাট তৈরী ও সংস্কার করেন। অনেক ব্রীজ/ কালভার্ট করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ডেমরা-তারাবো ব্রীজ। এই ব্রীজ টি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কুয়েত ফান্ড থেকে করে দিয়েছিলেন। ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকেশুরু করে আজকে বনশ্রী হয়ে যেই রাস্তাটা গিয়েছে সেই রাস্তাটাও সালাউদ্দিন আহমেদ করেছিলেন। মাতুয়াইল নিউ টাউন থেকেশুরু করে বিশ্বরোড হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত রাস্তাটা সালাউদ্দিন আহমেদ ই নিয়ে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ ঢাকা-৫ এর নাগরীক সুবিধারজন্য উনি প্রতিটা খাতের উন্নয়নে উনি উনার স্বাক্ষর রেখেছেন।

আসুন আমরা ঢাকা-৫ এর উপ নির্বাচনে সার্বিক উন্নয়নের জন্য দলমত নির্বিশেষে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধাআলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদ কে ধানের শীষে ভোট দেই এবং আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর ভোট চুরি যেকোনো মূল্যে প্রতিহতকরি।

পরিশেষে জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাথে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে চলবে আর সবচেয়ে বড়কথা হচ্ছে ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে বেড়িয়ে দলের প্রতিককে বিজয়ী করতে মাঠে কাজ করবেন। ইনশাআল্লাহ যদি সঠিকনির্বাচন হয় তবে আমাদের বিজয় এবার নিশ্চিত। শুধু প্রয়োজন সকল জাতীয়তাবাদীদের সম্মিলিত প্রয়াস মাত্র।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com