মুক্তিপণ আদায় ও মাথার চুল কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুন মাখিয়ে দেন আওয়ামী লীগ নেত্রী

0

ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমীন মৌসূমী কেকাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় শহরের টাউন হলের জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহআলম। সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ২৪ সেপ্টেম্বর জন্মদিন পালন এবং আগামী ১ অক্টোবর শ্রম ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের ঝালকাঠি সফর উপলক্ষে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম আলম খান কামাল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানাগেছে, গৃহবধূকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে মাথার চুল কেটে দেয়ায় আদালতে মামলা এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে শহীদ মিনার ভেঙে স্টল নির্মাণ করায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসূমী কেকাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিতর্কিত হওয়ায় দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসূমী কেকাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

jagonews24

জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম আলম খান কামাল জানান, দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসূমী কেকাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে এক গৃহবধূকে জিম্মি করে সারারাত নির্যাতন শেষে মুক্তিপণ আদায় ও মাথার চুল কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুন মাখিয়ে দেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন মৌসূমী কেকা ও তার লোকজন। এ সময় ওই নির্যাতিত নারীর বিনীত অনুরোধে তার প্রাণ ভিক্ষা দেয়ার কথা বলে এ কথা কাউকে জানালে আগুন ধরিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়।

এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওই নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শারমিন মৌসূমী কেকাসহ ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত মামলাটি নথিভুক্ত করে বাদীকে নিরাপত্তা দিতে সদর থানা পুলিশের ওসিকে নির্দেশ দেন। রাতেই সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড (নং-১০, তারিখ-১৭.৯.২০ইং) করেন ওসি মো. খলিলুর রহমান। এরপর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com