সাংগঠনিক কার্যক্রম বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের অংশ: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম কাউন্সিলের একটা অংশ। অর্থাৎ আমাদের দেশব্যাপী প্রতিটা জেলা, উপজেলা বা থানার যতটা ইউনিট আছে সেগুলো কাউন্সিলের আগেই সম্পন্ন করতে হয়। সেই কাজটা আমাদের শুরু হয়েছে।
গতকাল সোমবার শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, আমি বলব, বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমাদের কখন কাউন্সিল করার সুযোগ সৃষ্টি হবে সেজন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। একটা সময় কাউন্সিল হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। এর একটা কাউন্সিল ভার্চুয়াল বা অনলাইনে হয় না। কাউন্সিল মানে হলো ব্যাপক। প্রায় চার হাজারের মতো কাউন্সিলর আছে। তারপরে ডেলিগেট। আপনারা জানেন যে, আমাদের কাউন্সিলে লাখ লাখ লোক সমবেত হয়। সব কিছু আপনাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।
২০১৬ সালের ১৯ মার্চ রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয়। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘ সময় সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর গত রোববার থেকে বিএনপি তার সাংগঠনিক কার্যক্রম আবার শুরু করে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ২৫ মার্চ থেকে দলের সাংগঠনিক কার্য্ক্রমসহ কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে দলটি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মানুষের জীবনে যে ঝুঁকি- সব কিছু মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমাদেরকে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হয় প্রত্যেকে প্রত্যেকের স্বার্থে। আমি নিয়ম মানছি শুধু আমার স্বার্থে না, আরেকজনেরও স্বার্থে।এখন যে স্বাস্থ্যবিধি আছে সেখানে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরেশোরে করার সুযোগ কম। তারপরেও কাজ শুরু করেছি। কাউন্সিল দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার একটা অংশ, এটা গঠনতন্ত্রেও নিয়ম আছে। গঠনতন্ত্র তো দলের জন্য, জীবনের জন্যই। সেকারণে আমাদের কাউন্সিলটা যে সময় হওয়ার কথা সেসময়ে হয় নাই। ভবিষ্যতে হবে।
জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির আহবায়ক সাঈদ আহমেদ আসলামের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে তার রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।