খালেদা জিয়ার বড়পুকুরিয়া মামলার অভিযোগ গঠন দুই মাস পেছালো
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি (ষড়যন্ত্রমূলক) দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ দুই মাস পিছিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই (ষড়যন্ত্রমূলক) মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
তবে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হননি। এদিন তার পক্ষে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুদকদার।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএইচএম রুহুল ইমরান অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১৭ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।
পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আমরা আদালতে বলেছি খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। করোনা পরিস্থিতিতে অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে সরকার তাকে মুক্তি দিয়েছে। এ অবস্থায় ওনার পক্ষে আদালতে আসা সম্ভব নয়। তাই শুনানির জন্য সময়ের আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় (ষড়যন্ত্রমূলক) মামলাটি করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরপর ২০০৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির বিচার কাজ স্থগিত ছিল। সবশেষ ২০১৭ সালের ২৮ মে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। এরপর থেকে মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য রয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, এমকে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা গেছেন। আর যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
তাদর বাদ দিয়ে এখন বাকি আসামিদের বিচার চলছে। খালেদা জিয়া ছাড়াও এ (ষড়যন্ত্রমূলক) মামলার অন্য আসামিরা হলেন, জোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী ও সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।