মেজর সিনহাকে ‘লিয়াকতের গুলিটা’ শেখ হাসিনা করেছেন: গয়েশ্বর
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘মেজর সিনহাকে যে গুলি করেছে লিয়াকত, আমি মনে করি সেটা শেখ হাসিনা করেছেন। কারণ শেখ হাসিনার কথার বাইরে তো পুলিশ নড়েচড়ে না। আবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটা নাকি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এমন কোনও তরকারি নাই যে তরকারিতে নুন দেন না। সব তরকারিতে নুন দেন। আবার বলেন, ‘১ কেজি তরকারিতে ২ কেজি নুন দেবো, কার কী বলার আছে?’ কারো কিছু বলার নাই, তবে না খাওয়ার বিষয় আছে। সুতরাং এমন কোনও সাবজেক্ট নাই, যা শেখ হাসিনা জানেন না।’
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলো সবসময় সেবাখাতে ভর্তুকি দেয় বলে মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘পৃথিবীর কোনও রাষ্ট্র ব্যবসা করে না। ব্যবসা করে ব্যবসায়ীরা। সরকার ইউটিলিটি সার্ভিস দেয়।’
তিনি বলেন, ‘অকটেন বিদেশ থেকে আমদানি করে রিফাইনের পরে খরচ পরে ৪৬ টাকা। অথচ এটি বিক্রি হচ্ছে ৮৯ টাকায়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো কৃষিতে সর্বোচ্চ ৩০০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ ৩৫ পার্সেন্ট ভর্তুকি কৃষিখাতে দেয় না। তেল বেচবেন চড়া দামে, চাল খাবেন সস্তা দামে। এটা তো মুদ্রার উল্টা। সেবা খাতে আপনি তো ভর্তুকি দিচ্ছেন না বরং উল্টো লাভ করছেন। রাষ্ট্র তদারকি করে যেন ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করতে পারে।’
অপর এক প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে। ভারতীয় দিবে না, তাতে আমাদের কী করার আছে? বরং আর কোথা থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। দেশীয় আমদানিকারকদের বিভিন্ন জায়গা থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। ভারত কখনো পেঁয়াজ দিবে না, কখনো পানি দিবে না, আবার যখন পানির দরকার নেই তখন পানি দিয়ে ডুবিয়ে মারবে। ৫০ বছর যাবত এটাই দেখে আসছি। সুতরাং দেশের প্রয়োজনীয় যে সকল পণ্যগুলো আমদানি করতে হবে, সেসকল পণ্যের উৎপাদনকারী দেশগুলোর সাথে আমাদের সুসম্পর্ক রাখতে হবে।’
সংগঠনের সভাপতিন হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রমুখ।