তারেক রহমান সরকারের আক্রোশের শিকার: ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সমকালীন রাজনীতির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অসাংবিধানিক সরকারের নির্দেশে গ্রেফতারের পর থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো শুরু হয়। তারা গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দিয়ে তারেক রহমানকে নিয়ে নানা চক্রান্তের জাল ছড়ায়। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাকে হেয় করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করা হয়। অথচ দেশের কোথাও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা মামলা ছিল না।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ১/১১ সরকারের দায়ের করা মামলায় সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে তারেক রহমানের নাম দেয়া হয়েছে। এই নাম দেয়া সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থের নামান্তর। নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৩তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ শেষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা এবং শহীদ জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মিলাদ মহাফিল পরিচালনা করেন জামে মসজিদের ইমাম মুজাফর আহমদ।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শামসুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইকবাল চৌধুরী, মো: শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, মো: সালাউদ্দিন, সিহাব উদ্দিন মুবিন, হামিদ হোসেন, এইচএম রাশেদ খান, মাঈনুদ্দিন মোহাম্মদ শহিদ, নূরুল আকবর কাজল, মোহাম্মদ সেকান্দর, একেএম পিয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু মুছা, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আলমগীর নূর, সালাউদ্দিন লাতু, আফতাবুর রহমান শাহিন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আবদুল মালেক, মো: বুলবুল, নূর উদ্দিন হোসেন নূরু, মনিরুজ্জমান টিটু, নবাব খান, আখতার খান, আলী আব্বাস খান, এসএম মফিজ উল্লাহ, রফিক চৌধুরী, এসএম ফরিদুল আলম, জাহিদুল্লাহ রাশেদ, জসিম মিয়া, মঞ্জুরুল কাদের, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবুল বশর, মোজাম্মেল হক হাসান, নগর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলী মর্তুজা খান, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আসাদুজ্জমান টিপু, মো: নওশাদ, আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, তারেক রহমান তার পিতা শহীদ জিয়ার অনুকরণ করে সারাদেশে অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি বিএনপিকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিনিধি সম্মেলন করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। বর্তমান সরকার তারেক রহমানকে আগামী দিনের প্রধান প্রতিপক্ষ ভেবে রাজনীতি থেকে তাকে মাইনাস করার গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তারেক রহমানের ওপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনও বয়ে চলেছে। নানাভাবে তাকে বিপর্যস্ত ও বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চালিয়ে যাচ্ছে। তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পূরণের গতি অব্যাহত আছে।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য ও সামগ্রিকভাবে বিরাজনীতিকরণের ব্লু-প্রিন্ট বাস্তবায়নের জন্যই সে সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেফতার করে। তারেক রহমানকে শারীরিকভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলা ও সাজা দেয়া হয়েছে তা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক।