‘৩ সেপ্টেম্বর’ জিয়া পরিবারের স্মরণীয় দিন!
৩ সেপ্টেম্বর, দিনটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও জিয়া পরিবারের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। দিনটিকে দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে। এছাড়াও দিনটির সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর নামও জড়িয়ে আছে।
দেশের বহুল আলোচিত-সমালোচিত মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে তৎকালীন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়।
ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে গ্রেফতারের পর সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় সিএমএম আদালতে। আদালতে জামিন না মঞ্জুর হলে তাকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত সাব জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কারাগারে ৩৭২ দিন কাটানোর পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি মুক্তি পান এবং দেশেই অবস্থান করেন।
২০০৭ সালের একই দিনে (৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে মা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র বিশিষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো।
তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিদেশে চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের মে মাসে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকে তিনি বিদেশেই অবস্থান করছিলেন। কোকো ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেফতারের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়ে লন্ডন যান তারেক রহমান। একই বছরের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান কোকো। পরে থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়ায় যান তিনি।
১/১১ পরবর্তী এক সঙ্গে দেখা হয়নি মা খালেদা জিয়া এবং দুই সন্তান তারেক রহমান ও আরাফত রহমান কোকোর। আরাফাত রহমান কোকোর নিথর দেহ দেশের মাটিতে ফিরে এলেও এখনও স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপির উত্তরসূরি তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন।