‘বার্সা যুগের’ অবসান, ম্যানসিটিতেই মেসি
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ২০০৪ সালে কাতালান ক্লাব বার্সেলোনার মূল দলে অভিষেক হয়েছিল লিওনেল মেসির। এরপর কতশত রোমাঞ্চকর মুহূর্তের জন্ম হয়েছে তার জাদুকরী পায়ে। দীর্ঘ ১৬ বছরে বার্সেলোনা আর মেসি যেন ফুটবল দুনিয়ায় সমার্থক হয়ে উঠেছিল। ক’দিন আগেও পিএসজি কোচ টমাস টুলেখ মেসিকে আখ্যা দিয়েছিলেন ‘মিস্টার বার্সেলোনা’ নামে।
সেই মেসির এবার বার্সেলোনা যুগের অবসান হলো। সব জল্পনা-কল্পনা আর গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে রেকর্ড ৭০০ মিলিয়ন ইউরোতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০০০ কোটি টাকা) ম্যানচেস্টার সিটিতে পাড়ি জমালেন ফুটবল দুনিয়ার এই ‘অতিমানব’।
সব মিলিয়ে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে প্রায় ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে সাবেক গুরু পেপ গার্দিওলার কাছেই ফিরে গেলেন মেসি।
ইএসপিএন ইউকে’র খবরে বলা হয়েছে, ৫ বছরের চুক্তিতে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোতে মেসিকে নিজেদের শিবিরে নিচ্ছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানসিটি।
সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে বার্সার ৮ গোল হজমের পরই মেসির বার্সার ছাড়ার গুঞ্জন জোরালো হয়। এরইমধ্যে এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির সঙ্গে কথা বলতে বার্সেলোনায় যান ম্যান সিটির ‘ডিরেক্টর অব ফুটবল’ চিকি বেগিরিস্তাই।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার ব্যাপারে ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ সাফ জানিয়েছিলেন, ফ্রি-ট্রান্সফার নয়, বাই আউট ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পেলেই তারা মেসিকে ছেড়ে দেবেন। যদিও বার্সা বোর্ডের কেউ কেউ প্রেসিডেন্টের এই মতের বিরোধী ছিলেন।
বার্সা বোর্ডের অনেকেই বলছিলেন, মেসিকে বিক্রি করার জন্য অযৌক্তিক ও কাণ্ডজ্ঞানহীন মূল্য ধার্য করাটা উচিত নয়। এটি মেসিকে বার্সেলোনা থেকে বাইরে ঠেলে দেয়ার মতোই সিদ্ধান্ত।
তবে ফুটবল বিশ্লেষকদের ধারণা ছিল, ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে মেসিকে কেবলমাত্র ম্যানসিটিই নিতে পারে। শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণাই সত্যি হলো।
এদিকে ৬ বার ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির ম্যানসিটিতে পাড়ি জমানোর গুঞ্জনে ক’দিন আগেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগজয়ী লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেছিলেন, ‘মেসি এলে সিটিকে হারানো আরও অনেক বেশি কঠিন হবে।’