‘আন্তর্জাতিক গুম দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বাণী

0

‘গুমের শিকার ব্যক্তিবর্গের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর বাণী —

সারাবিশ্বে বিভিন্ন সময়ে গুম হয়ে যাওয়া মানুষদের স¥রণে ৩০ আগস্ট গুমের শিকার ব্যক্তি-বর্গের আন্তর্জাতিক দিবস। নিখোঁজ হওয়া মানুষদের স¥রণে জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি ২০১১ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে শত-শত গুমের ঘটনায় বাংলাদেশিরা আজ উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীসহ অন্য সমস্ত পরিবারের সদস্যরা গুম হয়েছেন তাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং নিখোঁজ মানুষদের পরিবারের প্রতি জ্ঞাপন করছি সহমর্মিতা। পৃথিবীজুড়ে গুম হওয়া মানুষগুলোকে স্মরণ ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য এই দিবসটি পালন করা হয়।

“গুম এখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারিরা এই হাতিয়ার ব্যবহার করে যথেচ্ছভাবে। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই গুমের শিকার হয়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। দেশে বিরোধী দল-বিরোধী মত ও বিরোধী রাজনৈতিক বিশ্বাস দমন করার জন্য সমাজে সন্ত্রাস ও ভয় সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বর্তমান সরকার নির্বিচারে গুমকে ব্যবহার করে আসছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অব্যাহতভাবে গুম করা হচ্ছে সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক, সাধারণ ছাত্র-যুবক এমনকি গৃহবধূও। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ফেরত দিলেও বাকীরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, কাউন্সিলর চৌধুরী আলমসহ ছাত্র, যুবক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, মুক্তমনা মানুষকে গুম করা হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে দুই মাস গুম করে রাখার পর অন্য দেশে পাচার করা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিমূর্লের এই মনুষ্যত্বহীন সংস্কৃতি বাংলাদেশে ছিলনা, আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসলেই কেবলমাত্র এই পৈশাচিক সংস্কৃতি চালু করে। মানুষের এখন জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। বর্তমানে যেদেশে জীবন্ত মানুষ অদৃশ্য হয়ে যায় সেই দেশের মানুষরা যেন আদিম অরণ্যেই বাস করছে। এইসব গুমের সাথে রাষ্ট্র জড়িত। বাংলাদেশে শত শত গুমের হোতা হচ্ছে সরকারী এজেন্সীগুলো। গুম হচ্ছে অখন্ড কর্তৃত্ববাদী বর্বর শাসনেরই অনুসঙ্গ। গুম হওয়া পরিবারগুলো অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের প্রিয়জনকে ফেরত পাওয়ার জন্য।

দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য জনগণের মিলিত কন্ঠে বর্তমান অপশাসনের অবসানের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে। গুম করা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত। গণতন্ত্র ফিরে আসলেই জবাবদিহিতা ফিরবে এবং গুমের অবসান হবে”।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com