জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপনের অভিযোগ, নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব!

0

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বড় একটা দুঃসংবাদ দিতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। দেশের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান আইসিসির ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছেন। আসন্ন ভারত সফরে তার খেলা বা না খেলার বিষয় ছাপিয়ে নতুন করে সংশয় দেখা দিয়েছে এ অলরাউন্ডারকে নিয়ে। 

সোমবার দিনগত রাতে সাকিবের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বেশকিছু গণমাধ্যমে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বেশকিছু সূত্রের বরাত দিয়ে এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী জুয়াড়ির দেওয়া প্রস্তাব বোর্ড বা সংস্থাটির দুর্নীতি দমন সংস্থা আকসুকে না জানানোয় ১৮ মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব আল হাসান।আকসুর নিয়মে আছে, কোনো ক্রিকেটার, ম্যাচ অফিসিয়াল, টিম অফিসিয়ালসহ সরাসরি ক্রিকেটে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনৈতিক প্রস্তাব না জানিয়ে চেপে গেলে, লুকানোর চেষ্টা করলে বা আকসুর জিজ্ঞাসাবাদেও অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে ‘আইসিসি অ্যান্টিকরাপশন’ ধারা ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৪, ২.৪.৫ ও ২.৪.৬ কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ছয় মাস আর সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে আইসিসি। সাকিব আকসুর জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করায় ১৮ মাস শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে আপাতত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আইসিসি।

তবে এখন পর্যন্ত আইসিসি, বিসিবি বা সাকিব আল হাসানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি বা মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এই খবর ইতোমধ্যে ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কোটি টাইগার ভক্তদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে এমন সংবাদ। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই সংবাদের যথার্থতা নিয়ে।

আবার কেউ কেউ ভারত সফরের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্পে সাকিবের অনুপস্থিতির মাঝেই খুঁজে পাচ্ছেন এমন সংবাদের সত্যতা। আর তাই ক্ষোভ ঝাড়ছেন আইসিসি এবং বিসিবির বিরুদ্ধে। কেউ আবার দোষ দেখছেন সাকিবের। আর কেউ ভাবছেন বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট ডাকায় ‘বলির পাঠা’ হতে হচ্ছে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারকে!

বলা হচ্ছে, দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে এক ক্রিকেট জুয়াড়ির (বুকি) কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সেটি তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে না জানিয়ে গোপন করেন তিনি। বিষয়টি পরে আইসিসি জানতে পারে। আন্তর্জাতিক জুয়াড়িদের কল রেকর্ড ট্র্যাকিং করে এ ব্যাপারে তারা তথ্য উদ্ধার করে। ওই জুয়াড়ি আইসিসির কালো তালিকায় থাকাদের একজন। বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর সম্প্রতি সাকিবের সঙ্গেও কথা বলেন আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) প্রতিনিধি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com