আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণেই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে: ফখরুল

0

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তাদের সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদেশের স্বাধীনতার পতাকাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেহেতু এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন এবং এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেশকে একটি সমৃদ্ধশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন, গণতন্ত্রকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে দেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন, সেজন্যই আজকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তার অবদানকে খাটো করে দেখানোর জন্য ১৫ আগস্টের ঘটনার সাথে তাকে জড়ানোর একটি প্রচারণা-প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমরা বারবার বলছি, এটা একটা ষড়যন্ত্র এবং সেটা প্রমাণিত হয়েছে। এটির বিচার হয়েছে এবং যারা আসামি তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে, সেখানে আবার নতুন করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম জড়ানো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এবং এদেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিশ্বাসের উপর একটি অবমাননা বলে আমি মনে করি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জড়িত করার যে অবস্থা সেটা এরই একটি অংশ।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চেতনা আজ ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং নির্যাতন-নিপীড়ণের একটা দুঃশাসন চলছে। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে দেখছি, এই যে কোভিড-১৯, যা সমস্ত বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশকেও তছনছ করে দিয়েছে, সেই সময়ে এই অবৈধ সরকারের সম্পূর্ণ উদাসীনতা ও অযোগ্যতা পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলেছে। মানুষের জীবনের ও জীবিকার কোনো মূল্য না দিয়ে তারা দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, আজকের এই দুঃসময়ে জনগণের নিরাপত্তা ও মানুষের জীবিকা ও জীবনের নিশ্চয়তা দিতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর নির্যাতন চলছেই। সরকার এখনো সেই মুক্তিযোদ্ধাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। এখানে যারা উপস্থিত আছেন সবাই খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধা, রণাঙ্গনে তারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদেরকেও কারাগারে যেতে হয়েছে এবং নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। শুধুমাত্র একটি কারণে, কারণ তারা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ঠিক একইভাবে গতকাল দুর্ভাগ্যজনকভাবে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীদের উপর সরকারি দলের সংসদ সদস্যের গুন্ডা বাহিনী হামলা চালিয়েছে এবং আহত করেছে। শুধুমাত্র একটাই কারণ- কেন সংসদ সদস্যকে সমর্থন করা হলো না। আমরা দুর্ভাগ্যের সাথে লক্ষ করেছি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সম্মান নেই। আর এখন বাংলাদেশকে একটি নতজানু ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা চলছে।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যথাক্রমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জড়িত করার প্রচেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত তারই একটি অংশ এটি। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। বারবার এদেশে যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছেন, যারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করেন, যারা নতজানু পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করে না তাদের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com