২৯ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাত আ.লীগ সরকার দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্তদের পৃষ্ঠপোষক: মান্না

0

দেশ এক ভয়াবহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, একদিকে করোনা মহামারী এবং বন্যা, অন্যদিকে দুর্নীতি-দুঃশাসনে দিশেহারা দেশের জনগণ। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত, দুর্নীতির প্রশ্রয় এবং সীমাহীন দুঃশাসনের মাধ্যমে সরকার দেশকে একটি ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। করোণা মোকাবেলায় সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। একদিকে সরকার দলীয় নেতাকর্মী এবং মদদপুষ্টদের লাগামহীন লুটপাট, দুর্নীতি অন্যদিকে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একের পর এক ঘৃণ্য নৃশংসতা এবং লুটতরাজের চিত্র আজ সকলের সামনে উন্মোচিত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাকিব আনোয়ার সাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যে সময়ে বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী রাজধানী ঢাকার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ করোনা সংক্রমিত বলে খবর প্রকাশিত হচ্ছে, বিশেষজ্ঞগণ দ্বিতীয় ধাপে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা প্রকাশ করছেন, সেই সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। যদিও জনগণকে করোনা পরিস্থিতির সঠিক তথ্য কখনই জানানো হয়নি। ন্যূনতম যেটুকু জানার সুযোগ ছিল, এখন সেটাও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোর দুর্নীতি, অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার চিত্র, বিনা খরচে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা নেবার পর চিকিৎসার নামে রোগী ও স্বজনদের এক প্রকার জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার খবর গণমাধ্যমগুলোতে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। আর সামান্য বিতর্ক তুলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা সরকার হাসপাতালগুলোতে অভিযান বন্ধের ব্যবস্থা করছেন। এতে স্পষ্ট হয় যে এই সবকিছুর মদদদাতা সরকার। এত কিছুর পরও এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বপদে বহাল আছেন। কারণ এই সকল দূর্নীতিবাজ, অথর্বদের দিয়েই এই অনির্বাচিত সরকার আর তার মন্ত্রী পরিষদ চলছে।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের এই ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর অনিয়ম, দূর্নীতি, নৃশংসতার নগ্ন চিত্র উন্মোচিত হয়েছে। দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তারাই আজ জনগণের সামনে ত্রাস হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। জনগণের কাছে পুলিশ আজ এক মূর্তিমান আতংকের নাম। ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আজ বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। আর এইসবের মদদদাতা, গডফাদার হিসেবে সরকারি দলের হোমরাচোমরাদের নাম পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। মেজর (অব:) সিনহা’র হত্যাকাণ্ডের পর একের পর এক পুলিশের নৃশংসতা এবং দূর্নীতির খবর প্রতিদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এই দৈত্যের হাত থেকে কেউই রক্ষা পাচ্ছে না।

তিনি বলেন,২৯ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতির সহযোগী পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এই সরকারের নেই। উপরন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সরকার তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বিচার ব্যবস্থাকে আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে সরকার।

মান্না বলেন, আমরা সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বলে এসেছি। আমরা ক্রসফায়ারের নাম কোন ধরনের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করি না। আমি এধরণের প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে এই সরকার ব্যর্থ। তারা দূর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্তদের পৃষ্ঠপোষক। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় তীব্র গণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা৷

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com